আমপানে রাস্তার অ্যাসফল্ট আস্তরণ উঠে গেছে? ছড়ালো মালয়োশিয়ার পুরনো ছবি
বুম দেখে অ্যাসফল্টের স্তর ওঠা রাস্তার ছবিটি আগে মালয়েশিয়ায় ভাইরাল হয়, যা ২০১৯-এর ডিসেম্বর মাস থেকে সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে।
পিচ রাস্তার উপরের অ্যাসফল্টের আস্তরণ সরে গিয়ে নীচের পাথর-মাটি বেরিয়ে এসেছে এরকম একটি পুরনো সম্পর্কহীন ছবিকে সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে বলা হচ্ছে এটি আমপান ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়া পশ্চিমবঙ্গের একটি রাস্তার ছবি।
ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় কলা বাগানের পাশের পিচ রাস্তার উপরের অ্যাসফল্টের আস্তরণ সরে গিয়ে পাথর-মাটি বেরিয়ে এসেছে। রাস্তয় বিচ্ছিন্নভাবে জমে রয়েছে বৃষ্টির জল। একটি বাচ্চা ছেলে ওই সরে যাওয়া ভাঙা রাস্তায় যাচ্ছে। অদূরে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন এক ব্যক্তি।
ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "কলাগাছ আছে খাড়া, রাস্তা যায় উড়ে। উন্নয়নে ভর করি, আসব আবার ফিরে।"
বুম দেখে একই ক্যাপশন সহ অনেক নেটজেনই ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন।
ছবিটি টুইট করে বলা হয়েছে আমফান পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটি রাস্তা। টুইটের ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "ছবিটা উত্তর ২৪ পরগনার, ছিন্নভিন্ন এই রাস্তা আরেকটি নুতন রাস্তার দিকে আক্ষরিক অর্থে নিয়ে যাবে"
(মূল ইংরেজিতে ক্যাপশন: "That's from 24 Paragana, Bengal. A reminiscence of the tarred road paved a different path quite literally")
That's from 24 Paragana, Bengal. A reminiscence of the tarred road paved a different path quite literally pic.twitter.com/1hItpKvfNU
— Namrata Datta (@candinam) May 23, 2020
বুম ছবিটিকে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে দেখে ছবিটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে অনলাইনে রয়েছে। বুম দেখে ওই সময় মলয়েশিয়ার নেটিজেনরা ছবিগুলি শেয়ার করেছিল।
২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর তারিখে করা এই ফেসবুক পোস্টগুলি দেখতে পাবেন এখানে এবং এখানে। পোস্টগুলি আর্কাইভ করা আছে এখানে এবং এখানে।
এই একই ছবি আবার ফিরে টুইটারে ফিরে আসে ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর এবং ইনস্টাগ্রামে ফিরে আসে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। আর্কাইভ করা আছে এখানে।
Yeet! Sepertinya kita masih membutuhkan sosok Daendels pic.twitter.com/jAGStm3MZF
— memelord (@memefess) December 30, 2019
নীচে ছবি দুটির তুলনা করা হল।
ঘূর্ণিঝড় আমপানের বিপর্যয় পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গের জনজীবন স্বাভাবিক করতে শনিবার রাজ্যে এসেছে সেনাবাহিনী ও আরও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ব্রিজ, জেটি, ভেঙেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায়। রাস্তায় গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিভিন্ন জায়গায় ও বাঁধ ভেঙ্গে নদীর গ্রামে নদীর জল ঢুকে পড়েছে। ত্রাণ তৎপরতায় সমন্বয়ের অভাবে বিক্ষোভ হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত জেলায় জেলায়। আবাসনে জল সরবরাহ বিঘ্ন ও বিদ্যুতের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে প্রতিবাদী নাগরিকরা। আস্তে আস্তে জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। কাঁচাবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় চূড়ান্ত দূরাবস্থার মধ্যে অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন সাইক্লোন সেন্টারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ফণীর ভিডিওকে আমপানে'র তাণ্ডবের দৃশ্য বলে চালানো হচ্ছে