সোনভদ্রর ভিডিওকে বলা হল হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী
বুম দেখে ২০১৯ সালে জমি-বিবাদে খুন হওয়া ১০ অদিবাসী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে দেখা করার ভিডিও এটি।
![সোনভদ্রর ভিডিওকে বলা হল হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী সোনভদ্রর ভিডিওকে বলা হল হাথরসে নির্যাতিতার বাড়িতে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী](https://bangla.boomlive.in/h-upload/2020/10/01/931141-fake-video-peddled-claiming-priyanka-gandhi-visited-hathras-victim-family01.webp)
২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রর ঘোরাওয়াল গ্রামে জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ১০ জন আদিবাসীকে খুন হওয়ার ঘটনায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর ওই শোকাহত পরিবারের মহিলাদের সান্ত্বনা দেওয়ার ভিডিওকে হাথরসে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার ভিডিও বলা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা হাথরস যেতে চাইলে যমুনা এক্সপ্রেসওয়েতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ বাধা দেয় তাঁদের। হেটে তাঁরা হাথরাস যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে, পরে তাঁদের গ্রেফতার করে দিল্লি ফেরত পাঠায় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রিয়ঙ্কা টুইট করে জানান পুলিশের লাঠিচালনায় কয়েকজন কংগ্রেস কর্মীরা আহত হয়েছেন।
ভাইরাল হওয়া ১ মিনিটের ভিডিওটিতে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা দাওয়ায় বসে শোকাহত মহিলাদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন। ভিডিওটির নেপথ্যে মহিলা কন্ঠে 'তেরে মিট্টি' গানটির অংশ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। ভিডিওতে কংগ্রেস দলের প্রতীক 'হাত' রয়েছে।
উত্তরপ্রদেশের আগ্রার অদূরে হাথরসে নির্যাতনের শিকার হওয়া ১৯ বছর বয়সী দলিত তরুনীর মৃত্যুর ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের রাজনীতি উত্তপ্ত। আভিযোগ, চারজন উচ্চবর্ণের যুবকদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই তরুনীটি। দু'সপ্তাহ আগে ওই নির্যাতিতাকে হাথরস হাসপাতাল ঘুরে আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিকেল হাসপাতালে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে ওই তরুনীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লি এইমস-এ রেফার করা হয়। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় সফদরজং হাসপাতালে।
সেখানে তরুনীটি মারা যায় মঙ্গলবার। মৃত তরুনীর পরিবারের লোকজনের দাবি না মেনে ওই দিন রাতেই দাহ করা হয় তাঁকে। হাথরাসের জেলাশাসক এলকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। এলাকায় গণমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বুধবার যোগী আদিত্যনাথ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন: অ্যাভিয়ান সারকোমা সারাতে অমিত শাহ নিউইয়র্কে, ভাইরাল হল মিথ্যে বার্তা
আরও পড়ুন: না, এটি হাথরসে প্রয়াত নির্যাতিতার ছবি নয়