ডুয়ার্সে ৩১ নং জাতীয় সড়কে জখম চিতাবাঘের ভিডিও জিইয়ে উঠলো
বুম দেখে ভিডিওটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের। ডুয়ার্সে বীরপারা-ফালাকাটাগামী ৩১ নং জাতীয় সড়কে গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় চিতা বাঘটি।
জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বীরপারা থেকে ফালাকাটাগামী ৩১ নং জাতীয় সড়কের উপর দুর্ঘটনার কবলে পরা একটি চিতা বাঘের পুরনো ভিডিওকে বিভ্রান্তিকর দাবি সহ নতুনভাবে শেয়ার করা হচ্ছে। ওই ফেসবুক পোস্টে মিথ্যে দাবি করা হচ্ছে দার্জিলিং যাওয়ার পথে নাকি দেখা মিলেছে ওই বাঘটির।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ৫৮ সেকন্ডের এই ভিডিওটিতে একজন পথচারীকে ঘটনাস্থলে নিজের মোবাইলে রেকর্ড করতে দেখা যায় সমগ্র দৃশ্যটি। ওই ভিডিওতে আহত এক বাঘকে রাস্তার উপর বসে থাকতে দেখা যায়। বাঘটিকে দেখতে কয়েকজন ব্যক্তির জটলাও লক্ষ করা যায়। পরে আহত বাঘটি দৌড়ে পাশের চা বাগিচার মধ্যে সেঁধিয়ে যায়।
তথ্য যাচাই
বুম গুগুলে "বীরপারা ফালাকাটা টইগার" কিওয়ার্ড লিখে গুগুলে সার্চ করে একই ধরণের দুটি ইউটিউব ভিডিওর হদিস পায়। ভিডিও দুটি ২০১৮ সালের ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে আপলোড করা হয়েছিল।
ভিডিও দুটির ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে, বীরপারা-ফলাকাটা রাস্তায় ওই বাঘটি দুর্ঘটনায় আহত হয়।
প্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড সার্চ করে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ও ১৬ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আনন্দবাজার ও সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদন খুঁজে পায় বুম।
রাস্তা পারাপারের সময় চিতাবাঘটি সম্ভবত গাড়ির ধাক্কায় আহত হয় বলে ওই প্রতিবেদনগুলিতে দাবি করা হয়েছে। প্রায় ঘন্টাখানেক আহত চিতা বাঘটি রাস্তায় পরে থাকে বলে স্থানীয়দের বক্তব্য। পরে সেটি দৌড়ে পাশের চা-বাগানে আশ্রয় নেয়। বনকর্মীরা ঘুম পাড়ানি ইঞ্জেকশন দিয়ে পরে বাঘটিকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যায় খয়েরবাড়ি চিতাবাঘ চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে একটি ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে। ভিডিওটি নীচে দেওয়া হল।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিও আর প্রতিবেদনে থাকা ভিডিওটি একই দৃশ্যের। ভিডিওতে থাকা ব্যক্তিদের অবস্থান ও পোশাকে মিল পাওয়া যায়।