মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের ভিডিওকে দিল্লির বলা হল
বুম জানতে পারে ভিডিওটি ওই হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্তের এক আত্মীয় ২৬ মে রেকর্ড করেছিল।
মুম্বইয়ের কিং এডোয়ার্ড মেমোরিয়াল (কেইএম) হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের ভয়ানক দুর্দশার একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে দিল্লির হাসপাতালের অবস্থার ছবি বলে।
লকডাউনের চতুর্থ পর্যায়ের শেষে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যখন হু-হু করে বাড়ছে, ঠিক তখনই ভিডিওটি ভাইরাল করা হয়েছে। ৩০ মে এই সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১৭,৩৮৬, দেশের সব রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে। সংবাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী ২৯ মে নিয়ে পর-পর দু দিন জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যায় অবশ্য মহারাষ্ট্র এখনও শীর্ষস্থানে।
৯০ সেকেন্ডের এই ভাইরাল ক্লিপটি একটি মোবাইল ফোনে তোলা, যাতে একটি কোভিড-১৯ ওয়ার্ডের অসহনীয় দুর্দশার ছবি তুলে ধরা হয়েছে। রোগীদের চাকা-লাগানো স্ট্রেচারে শুয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে এবং রোগিণী ক্যামেরার দিক মুখ করে দেখাচ্ছেন, অন্তত চারটি মৃতদেহ ওয়ার্ডের কোথায়-কোথায় পড়ে রয়েছে। মহিলাটির আরও দাবি যে, ওই চাকা-লাগানো স্ট্রেচারের কাছেই অন্যান্য রোগীদের মেঝেয় শুইয়ে রাখা হয়েছে। ক্লিপটির শেষ দিকে মহিলাটিকে ক্যামেরা-ফোনের মালিককে স্পষ্ট হিন্দিতে বলতে শোনা যাচ্ছেঃ "বাইরে যাও, গিয়ে ফেসবুকে এই ভিডিও আপলোড করো, আর সেটাকে ট্যাগ করো কেইএম হাসপাতাল বলে l"
ভাইরাল ক্লিপটি নীচে দেখুন এবং পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ওই একই ভিডিওটির একটি কাটছাঁট করা সংস্করণ বেশ কয়েকটি টুইটার হ্যান্ডেলেও শেয়ার হচ্ছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রতি একই ভুয়ো তিরস্কার সহ।
केजरवाल कुछ तो शर्म करो....... हद हो गई।
— तैमूर का जीजा 💪🇮🇳🇮🇳🇮🇳 (@brijeshchaodhry) May 29, 2020
नहीं समलता तो बताओ राष्ट्रपति शासन लागू करने का अनुरोध करें😡😡😡
ये ही है आपकी तेयारी 🤔
कहाँ गये आपके मोहल्ला क्लिनिक @ArvindKejriwal @msisodia @KapilMishra_IND @ManojTiwariMP @DrKumarVishwas pic.twitter.com/UwJGCJm0Lu
#वर्ल्ड क्लास #दिल्ली के #हॉस्पिटल का बुरा हाल#फेल #अरविंद_केजरीवाल_सरकार
— Bharat Kumar (@0548948ba13843c) May 29, 2020
केजरवाल कुछ तो शर्म करो.......
नही संभल रहा तो बताओ #केंद्र_सरकार से अपील#राष्ट्रपति शासन लागू किया जाए pic.twitter.com/80O1RRexDc
আরও পড়ুন: ২০১৬'র টেক্সাসের সুপারমার্কেটে পাখির ঝাঁকের ভিডিও ছড়ালো সৌদি আরবের বলে
তথ্য যাচাই
এই সূত্র ধরে বুম ফেসবুকে কেইএম হাসপাতাল, কোভিড-১৯ এবং মুম্বই, এই শব্দগুলি বসিয়ে সন্ধান চালায় এবং এই একই ভিডিও বেশ কয়েকটি পোস্টে শেয়ার হতে দেখে, যাতে এটিকে কেইএম হাসপাতালের দৃশ্য বলেই দাবি করা হয়েছে।
২৭ মে, ২০২০ জি-হিন্দুস্তানের ইউ-টিউব চ্যানেলেও এই ভিডিওটিই আপলোড হয়। ভিডিও-র সঙ্গের বিবরণীতে লেখা: "মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের কোভিড-১৯ ওয়ার্ডে তো কোনও শয্যাই খালি নেই, কী করে ওরা করোনা রোগীদের চিকিত্সা করবে? মহারাষ্ট্র"
সংবাদ-প্রতিবেদন অনুসারে ভিডিওটি কেইএম হাসপাতালে ভর্তি এক কোভিড-১৯ রোগীর কন্যা তাঁর মোবাইল ফোনে তোলেন গত ২৬ মে, ২০২০।
একই ভিডিও টাইমস নাউ সংবাদ মাধ্যমের সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলেও শেয়ার করা হয় ২৭ মে এবং তাতে দৃশ্যটি কেইএম হাসপাতালের বলেই উল্লেখ করা হয়।
#Breaking | Watch: Patient films 'horror' in a Maharashtra hospital. Dead bodies, without even being wrapped up are found lying in rooms where patients are accommodated.
— TIMES NOW (@TimesNow) May 27, 2020
Details by TIMES NOW's Aruneel. | #RahulDumpsMaharashtra pic.twitter.com/LJycZ5hMQk
বিজেপি নেতা রাম কদম এই ভিডিওটি টুইট করে হিন্দিতে লেখেনঃ "এটি মুম্বইয়ের কেইএম হাসপাতালের ২০-ক ওয়ার্ডের ছবি, যা মঙ্গলবার তোলা হয়। ছবিতে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে, করোনা রোগীরা হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে আর করোনায় মৃতদের দেহগুলোও চাকা-লাগানো স্ট্রেচারে এদিক-ওদিক ছড়ানো রয়েছে। চতুর্দিকে নোংরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে।"
मुम्बई के KEM हॉस्पिटल के वार्ड 20A की है? ये वीडियो मंगलवार को बनाया गया है ? वीडियो में साफ दिख रहा है कि कोरोना मरीज को हॉस्पिटल की ज़मीन पर है, ? मरीज के आस पास के हर बिस्तर पर कोरोना से हुई मौत के बाद लाशों को रखा गया है? पूरे वार्ड में कचरा फैला हुआ है ? @OfficeofUT pic.twitter.com/dCEmRg49n1
— Ram Kadam (@ramkadam) May 27, 2020
.@ramkadam यांनी दाखवलेल्या व्हिडिओ ची पार्श्वभूमी पहा! आरोप करण्याआधी लोकप्रतिनिधींनी प्रशासनाला प्रश्न विचारला तर लोकांमध्ये घबराट पसरणार नाही. तसेच अशा प्रयत्नांतून जीवाची बाजी लावून अविरत सेवा करणाऱ्या डॉक्टर, नर्सेस व इतर कर्मचाऱ्यांचे नैतिक बळ कमजोर होते. पण हे समजणार कोण? https://t.co/rLsC6l7kCZ pic.twitter.com/RZFAysOocD
— Sachin Sawant सचिन सावंत (@sachin_inc) May 27, 2020