মেঘালয়ে আহত বিএসএফ জওয়ানদের ভিডিওকে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ বলা হল
বুম দেখে ভিডিওটি ২০১৯ সালের অক্টোবরের। মেঘালয়ে ২০ জন বিএসএফ জওয়ানকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাসটি খাদে পড়ে গেলে ওই দূর্ঘটনা ঘটে।
আট মাসের পুরনো একটি ভিডিওয় মেঘালয়ে এক বাস দুর্ঘটনায় আহত বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) বা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটি এই বলে ভাইরাল হয়েছে যে, সেটি হল গালওয়ান উপত্যকার লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (এলওএসি) বা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনাদের আক্রমণে আহত ভারতীয় সেনাদের ছবি।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায়, ১৫ ও ১৬ জুন ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে এক সংঘর্ষে একজন কমান্ডিং অফিসার সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা নিহত হন। চিনাদের দিকে হতাহতের সংখ্যা বেজিং এখনও প্রকাশ করেনি। ওই ঘটনার আবহে ওই ভিডিওটি শেয়ার করা হচ্ছে।
ভিডিও ক্লিপটিতে প্রতিরক্ষা বাহিনীর আহত জওয়ানদের মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে। আর যিনি দৃশ্যটা রেকর্ড করছেন, তিনি ওই আহত ব্যক্তিদের মনবল অটুট রাখার চেষ্টা করছেন। পোস্টটির ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "লাদাখের গালওয়ান ভ্যালি থেকে ভাইরাল ভিডিও, সেখানে এলএসি-তে চিনা সেনাবাহিনীর হাতে মার খেল ভারতীয় সেনারা #কাশ্মীর।"
ভিডিওটির দৃশ্যগুলি অসহনীয় হওয়ায় সেটি এখানে দেওয়া হল না। পোস্টটি দেখা যাবে একই দাবি সমেত ওই একই ভিডিওটি বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি টুইটার হ্যান্ডেল এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।তথ্য যাচাই
ওই ভাইরাল ক্লিপের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেম নিয়ে বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। তার ফলে নভেম্বর ২০১৯-এর একটি ফেসবুক পোস্ট সামনে আসে। ওই একই ফুটেজের একটি দীর্ঘ সংস্করণ ছিল তাতে।
( উর্দুতে লেখা হয়: بھارتی فوج کی پاکستانی حدود میں فائر*نگ سے 1 شہری کے شہید ہونے کے بعد پاکستانی فوج کی جوابی کاروائی، بھار*تی فو*جیوں سے بھری پوری بس اڑا دیا ویڈیو کو #شئیر کریں اور مزید ویڈیوز کے لئے#Follow یا #friend_Request کیجئے۔شکریہ)
এর থেকে প্রমাণ হয়, ভিডিওটি গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় আর চিনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের ছবি নয়।
ये वीडियो मेघालय का है। जवानों से भरी बस खाई मे गिर गयी थी ये BSF या CRPF के जवान थे। ये हादसा गारो हिल्स जिले मे हुआ था।
— MEENA RAKESH 1280 (@1280Meena) June 20, 2020
খবরে প্রকাশ, ২০ জন বিএসএফ জওয়ান নিয়ে যে বাসটি যাচ্ছিল, সেটি বিএসএফ-ই ভাড়া করেছিল। ওই দুর্ঘটনায় সহকারী বাস চালক মারা যান। বাসের চালক ও বিএসএফ জওয়ানদের নর্থ ইস্ট ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ হেল্থ অ্যান্ড মেডিক্যাল সয়েন্সেস-এ নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ প্রতিবেদনগুলিতে যে ছবি ব্যবহার করা হয় এবং ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশটগুলি মিলে যায়।
তাছাড়া, ক্লিপটিতে যে ধরনের 'টেরেন' বা ভূখণ্ড দেখা যাচ্ছে, তার সঙ্গে ভারত-চিন সংঘর্ষ হওয়া গালওয়ান উপত্যকার ভূখণ্ডের চরিত্রের সঙ্গে কোনও মিল নেই।