বিষ্ণুপুরে মাছে মরফিন ভাইরাসের ভুয়ো দাবি ফের ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
বুম দেখে ভাইরাল ছবিটির জীব একটি পরজীবী মাত্র। ২০১৮ সালে এই ভুয়ো দাবি ছড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করে।
![](https://bangla.boomlive.in/h-upload/2024/04/03/1024292-screenshot-2024-04-03-155811.webp)
Claim
সম্প্রতি ফেসবুকে ভাইরাল একটি পোস্টে বুমের লোগো সমেত ছবি দিয়ে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে যে ছবিটিতে মাছের গায়ে মরফিন ভাইরাস দেখা যাচ্ছে। ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বিষ্ণুপুরে এ মরফিন ভাইরাস পোঁছে গেছে। এখন পর্যন্ত অনেক মানুষকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। Dr.ডেভিস দিসুজা বলেছেন এই রোগটি বিষ্ণুপুরে এ এলো বিষ্ণুপুর লোকাল বাঁধ এর মাছ এর মাধ্যমে। তিনি এও বলেছেন যদি এটা এইভাবেই চলতে থাকে তবে অতিশিঘ্রই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারাযাবে এক সপ্তাহের মধ্যে...পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা জন স্বার্থে প্রচারিত।" পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে। এই একই দাবি করে হোয়াটস্যাপেও ছবিটি ছড়ানো হচ্ছে।
FactCheck
বুম লক্ষ্য করে ভাইরাল পোস্টে বুম ফ্যাক্ট চেকের লোগো দেখা যাচ্ছে। এরপর, আমরা বিষ্ণুপুরের জেলা শাসকের ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট লক্ষ্য করি। সেখানে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে দাবিটি সম্পূর্ণভাবে ভুয়ো এবং জনসাধারণ যেন এই গুজবে বিশ্বাস না করে। পোস্টটি দেখুন এখানে। আমরা দেখি এই একই দাবি ৪ বছর আগেও ভাইরাল হয়েছিল এবং বুম ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে দাবিটির তথ্য যাচাই করে। সেই ছবিটিই ভাইরাল পোস্টে ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাওয়া জীবটি একটি পরজীবী বা নিমাটোড যা মাছের শরীরে থাকা খুব স্বাভাবিক। এই নিমাটোড মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। উপরন্তু, ভাইরাসকে খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। ২০১৮ সালে এই একই ভুয়ো দাবি ছড়ানোর জন্য বনগাঁ লোকাল নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি দপ্তর।