হামজা বেনদেলাজের ফাঁসির ভুয়ো দাবিতে ফের ছড়াল মাজিদ কাভোওসিফারের ছবি
বুম দেখে হ্যাকার হামজা বেনদেলাজের প্রাণদন্ড হয়নি, ছবিটি ইরানে বিচারককে খুনের দায়ে ফাঁসি হওয়া মাজিদ কাভোওসিফারের।
Claim
মাজিদ কাভোওসিফারের প্রাণদণ্ডের ছবি ফের ভুয়ো দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ছড়ানো হচ্ছে। পোস্টে দাবি করা হচ্ছে ছবিটি আলজেরিয়ার হ্যাকার হামজা বেনদেলাজের যিনি আমেরিকা ও ইউরোপের ২০০-র বেশি ব্যাঙ্কের টাকা হ্যাকিং মারফত হাতিয়েছেন। ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, "ফাঁসির দড়ি গলায় পড়ার পরেও এমন হাঁসিমুখে থাকা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। এই সেই হামজা বেনদেলাজ, যিনি ২১৭ টি ব্যাংক থেকে ৪০ কোটি ডলার হ্যাক করেন এবং আফ্রিকা ও ফিলিস্তিনে অনাহারে অর্ধাহারে মরে যাওয়ার উপক্রম মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দেন... এটি আমার অপরাধ? স্যালুট হামজা বেনদেলাজ, বিড়ালের মত পাঁচশো বছর বেঁচে থাকার চেয়ে, সিংহের মত এক ঘন্টা বেঁচে থাকা উত্তম!"
FactCheck
বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করে পাই ছবিটি মাজিদ কাভোওসিফারের, হ্যাকার হামজা বেনদেলাজের নয়। রয়টর্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ইরানের তেহরানে ২০০৫-এ বিচারক মোগহাদ্দাসকে গুলি করে খুন করার দায়ে মাজিদ কাভোওসিফার ও তার ভাইপো হুসেইন কাভোওসিফারকে ২০০৭ সালে জনসমক্ষে প্রাণদণ্ড দেওয়া হয়। তাদের ফাঁসি হয় তেহরানের এরশাদ আইনি কমপ্লেক্সের সামনে যেখানে তারা বিচারক মোগহাদ্দাসকে হত্যা করেছিল। এর একাধিক ছবি গেটি ইমেজেস-এর ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে। ২০১৫ সালে প্রকাশিত আলজাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী হামজা বেনদেলাজের দীর্ঘ মেয়াদী জেল হলেও প্রাণদন্ড দেওয়া হয়নি তাঁর। হামজার মৃত্যুদন্ডের নিয়ে গুজব ছড়ালে আমেরিকার কর্তৃপক্ষ সেই গুজবের সত্যতা অস্বীকার করে। ছবিটি ২০২১ সালে একই ভুয়ো দাবিতে ভাইরাল হলে বুম সেটির তথ্য যাচাই করেছিল।