চিকেন পক্সের পুরনো ছবি মরফিন ভাইরাসের প্রকোপ বলে ফের ছড়াল
বুম দেখেছে ২০১৫ সাল থেকে চিকেন পক্স আক্রান্ত এই রোগীর ছবিটি রয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।
Claim
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে যেখানে এক রোগীর পিঠে অসংখ্য পক্সের মতো ফোস্কা দেখা যাচ্ছে। ছবিটির সাথে লেখা রয়েছে,"হুগলীর তারকেশ্বর এ মরফিন ভাইরাস পৌঁছে গেছে। এখন পর্যন্ত অনেক মানুষকে বর্ধমানের মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। Dr. রজ্ঞন ডি সিলভা বলেছেন এই রোগ হুগলীর তারকেশ্বর এলো পোলট্রি মুরগির মাংস এর মাধ্যমে। তিনি এও বলেছেন যদি এটা এইভাবেই চলতে থাকে তবে অতিশিঘ্রই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারা যাবে এক সপ্তাহের মধ্যে৷ তাই সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে আপনারা কেউ মুরগির মাংস বর্তমানে এক মাস পর্যন্ত খাবেন না এবং বাচ্চাদেরকে এর থেকে দূরে রাখবেন। প্রচুর পরিমাণে মুরগি কে বেশি করে ইঞ্জেকশেন করার জন্য এই রোগটি বেশি ছড়াচ্ছে, এই রোগটি বিশেষ করে কিডনিকে নষ্ট করে দিচ্ছে। দুর্গাপুর এর Dr. অসীম সামন্ত নিজেও এই রোগের শিকার হয়েছেন। এই রোগের কোনো ওষুধ বার হয়নি তাই এই রোগকে সারানো বর্তমানে অসম্ভব। Dr রজ্ঞন ডি সিলভা বলেছেন এই রোগে কিডনি ব্যপক ভাবে খতিগ্রস্ত হচ্ছে যার ফলে মানুষটি মারা যাচ্ছে। দয়াকরে খবরটি অন্য সবাইকে জানান । PLEASE FORWARD THIS MSG পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা জন স্বার্থে প্রচারিত।"
FactCheck
বুম দেখেছে এই ছবিটি এর আগেও বিভ্রান্তিকর দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে। রুগীর পিঠের এই ছবিটি ২০১৫ সাল থেকে সোশাল মিডিয়াতে উপস্থিত রয়েছে বলে জানা যায়। ২০১৮ সালে এই দাবিটি ভাইরাল হওয়ায় রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। এই ভুয়ো খবর ছড়ানোর জন্য রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সেই সময় ৪ জনকে গ্রেফতারও করেছিল কিন্তু তারপরেও অনেকে ভুয়ো এই দাবি করে ছবিটি পোস্ট করেছেন সমাজ মাধ্যমে। ছবিটি ২০১৫ সালের মিরর সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে ছবিটিকে চিকেন পক্স আক্রান্ত ব্যক্তির ছবি বলা হয়েছে। বসন্তকালে সচরাচর এই রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এই দাবি ছাড়াও এর আগে অনেক ধরণের ভুয়ো তথ্যসমেত ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল।