বিভ্রান্তিকর দাবিতে লেখিকা সুধা মূর্তির ছবি ফেসবুকে আবার জিইয়ে উঠল
বুমকে সুধা মূর্তি জানান, বেঙ্গালুরুর রাঘবেন্দ্র স্বামী মঠে 'সেবা' করার সময় হয়ত মন্দিরের কোনও ভক্ত ছবিটি তুলেছেন।
Claim
ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন ও লেখিকা সুধা মূর্তির চারপাশে ডাঁই করে সবজি রাখা এরকম একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো দাবি সহ শেয়ার করা হচ্ছে। গ্রাফিক পোস্টের ছবিটি ফেসবুকে শেয়ার করে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “শ্রদ্ধা।" গ্রাফিক পোস্টটিতে লেখা হয়েছে, “ইনি শ্রীমতি সুধা মুর্তি। গোল্ড মেডেলিস্ট ইঞ্জিনিয়ার। ইঞ্জিনিয়ার টিচার। পদ্মশ্রী পদশ্রী পদকপ্রাপ্ত। মারাঠি/ইংরেজি লেখিকা। টাটা টেলকোর প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। গেটস ফাউন্ডেনশনের সদস্যা। সর্বোপরি তিনি ইনফোসিস প্রতিষ্ঠা সদস্য নারায়ণা মূর্তির স্ত্রী। তবুও প্রতিবছর একদিন তিনি সবজি বিক্রি করেন, শুধুমাত্র নিজের ইগো, নিজেকে বড় ভাবা কন্ট্রোল করার জন্য, সমাজের নিচু তলার লোকদের বোঝার জন্য!"
FactCheck
২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই ছবিটি একই ভুয়ো দাবি সহ ভাইরাল হলে বুম ইনফোসিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন সুধা মূর্তি সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি বুমকে জানান, ছবিটি বেঙ্গালুরুর রাঘবেন্দ্র স্বামী মঠে মঠে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার সময় তোলা। "প্রতি বছর আমি আর আমার বোন, কিছু সহকারীদের নিয়ে, সেবা করার জন্য তিন দিন ওই মঠে কাটাই। সেখানে প্রসাদের জন্য যে সবজি আসে, আমরা সেগুলি দেখাশোনা করি,” বুমকে বলেন সুধা মূর্তি। বুমকে সুধা মূর্তি আরও বলেন, “ওই তিন দিন প্রতি সকাল ও সন্ধ্যায় আমরা মঠে গিয়ে প্রসাদ তৈরি করার জন্য সবজি ও ফল কাটা, ধোয়া, আর অন্যান্য উপাদান জোগাড় করার কাজ তদারকি করি। ভগবানের সামনে সবাই সমান। কিন্তু সমাজ আমাদের ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তোলে। তাই আমি প্রতি বছর এই সেবা করি।” এই কাজ তিনি অনেক বছর ধরে করছেন বলে জানান আমাদের। সম্ভবত মন্দিরের কোনও ভক্ত এই ছবিটি তুলেছেন।