চিতাবাঘের হরিণ শিকারের ছবি ফের ছড়াল অবসাদের মনগড়া ভুয়ো দাবিতে
বুম দেখে ফোটোগ্রাফার অ্যালিশন বাটিজিয়েগ ২০১৭ সালে অবসাদের দাবি ভুয়ো বলে খণ্ডন করেন। কেনিয়ায় তিনি শিকারের ছবিটি তোলেন।
Claim
বিভ্রান্তিকর দাবি করে কেনিয়ার মাসাইমারাতে চিতাবাঘের ইম্পালা শিকারের পুরনো এক ছবি ফের মিথ্যে দাবি সহ ছড়াল সোশাল মিডিয়ায়। মনগড়া দাবি করে পোস্টটিতে লেখা হয়, যে ফোটোগ্রাফার শিকার দৃশ্যের ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তিনি হৃদয়-বিদায়ক এই দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে যান। ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "হরিনটার চোখে কোন ভয় দেখতে পাচ্ছেন? এ ছবিটা শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার পেয়েছে। ফটোগ্রাফার ছবিটা তোলার পর থেকে ডিপ্রেসনে চলে যান। চিতা বাঘগুলো মা হরিণ ও তার দুই বাচ্চাকে ধাওয়া করে। মা হরিণটা খুব সহজেই চিতা বাঘগুলোর কাছে নিজেকে ধরা দেয়। অথচ সে দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু সে তা না করে নিজেকে বলি দেয়। যাতে তার বাচ্চা দুটো পালিয়ে যেতে পারে।" (সংক্ষেপে)
FactCheck
বুম ছবিটিকে রিভার্স সার্চ করে ওয়াইল্ড লাইফ ফোটোগ্রাফার অ্যালিশন বাটিজিয়েগের ওয়েবসাইটে খুঁজে পায়। কেনিয়ার মাসাইমারাতে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে অ্যালিশন চিতাবাঘের ইম্পালা (হরিণ জাতীয়) শিকারের দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন। নারাশা নামের এক মা চিতা বাঘ তার শাবকদের শিকার করার কৌশল শেখানোর সময় তার শাবকেরা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল সেই প্রচেষ্টায়। অ্যালিশন সমগ্র শিকারের দৃশ্যটির প্রতিটি ধাপ লেন্সবন্দি করেন। এক ফেসবুক পোস্টে ২০১৭ সালে অ্যালিশন লেখেন ভাইরাল এই কাহিনীটি মনগড়া গল্প ছাড়া কিছুই নয়। একই দাবি সহ ২০১৯ সালে ছবিটি ভাইরাল হলে বুম তার তথ্য যাচাই করে।