মাছে মরফিন ভাইরাসের পুরনো গুজব ফের ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
বুম দেখে ছবিতে দেখতে পাওয়া জীব একটি পরজীবী। ২০১৮ সালে এই একই গুজব ছড়ানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তারও করে।
Claim
সম্প্রতি ফেসবুকে মাছের টুকরোর একটি ছবি যার উপর একটি পরজীবী দেখা যাচ্ছে ছড়িয়ে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে যে ছবিটিতে মাছের গায়ে মরফিন ভাইরাস দেখা যাচ্ছে। ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, "বিষ্ণুপুরে এ মরফিন ভাইরাস পোঁছে গেছে ৷ এখন পর্যন্ত অনেক মানুষকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৷ Dr.ডেভিস দিসুজা বলেছেন এই রোগটি বিষ্ণুপুরে এ এলো বিষ্ণুপুর লোকাল বাঁধ এর মাছ এর মাধ্যমে ৷ তিনি এও বলেছেন যদি এটা এইভাবেই চলতে থাকে তবে অতিশিঘ্রই লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ মারাযাবে এক সপ্তাহের মধ্যে...পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা জন স্বার্থে প্রচারিত।" এই একই দাবিসহ হোয়াটস্যাপেও ছবিটি ছড়ানো হচ্ছে।
FactCheck
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ছবিতে বুম ফ্যাক্ট চেকের লোগো দেখা যাচ্ছে। আমরা দেখি যে এই একই দাবি ৪ বছর আগে ভাইরাল হলে বুম ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখে দাবিটির তথ্য যাচাই করে। সেই ছবিটিই ভাইরাল পোস্টে ব্যবহৃত হচ্ছে। ছবিতে দেখা যাওয়া জীবটি একটি পরজীবী বা নিমাটোড যা মাছের শরীরে থাকা খুব স্বাভাবিক। এই নিমাটোড মানুষের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। এছাড়াও, ভাইরাসকে খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। ২০১৮ সালে এই একই গুজব ছড়ানোর জন্য বনগাঁ লোকাল নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সিআইডি দপ্তর।