সাম্প্রদায়িক দাবিতে ফের ছড়াল বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের উপর আক্রমণের ভিডিও
বুম যাচাই করে দেখে ভিডিওতে এক যুবককে বাংলাদেশে যৌনকর্মীদের আচরণের প্রতিবাদে মারধর করতে দেখা যায়।

Claim
সম্প্রতি এক ভিডিও পোস্ট সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে দাবি করা হয় বোরখা না পরার কারণে বাংলাদেশে রাস্তায় প্রকাশ্যে হিন্দু মহিলাদের মারধর করা হচ্ছে। ভিডিওটিতে এক ব্যক্তিকে লাঠি হাতে কিছু মহিলাদের রাস্তার উপর ধাওয়া করে মারধর করতে দেখা যায়। ভিডিওটির ক্যাপশন হিসেবে তাতে লেখা হয়, "বাংলাদেশে হিন্দু মা বোনেদের উপরে কীভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে দেখুন - বোরখা না পরার কারণে এরকম অত্যাচার"। এছাড়াও ওই ভিডিও অন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য তা শেয়ার করার আবেদনও করা হয়। পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও তার আর্কাইভ দেখতে এখানে।
FactCheck
২০২৪ সালেও এই একই ভিডিও সাম্প্রদায়িক দাবিতে ভাইরাল হলে তার তথ্য যাচাই করে বুম। সেসময় আমরা সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখে প্রকাশিত বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাই যেখানে ভাইরাল এই ভিডিওর স্ক্রিনশট দেখতে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকার শ্যামলী এলাকায় যৌনকর্মীদের লক্ষ্য করে হামলাটি করা হয়।
প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ভাইরাল ভিডিওর স্ক্রিনশটগুলিতে 'এইচ এম রাসেল সুলতান' নামটি লক্ষ্য করা যায়। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ওই নামের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি পোস্ট করে তার মাধ্যমে যৌনকর্মীদের উপর আক্রমণকে উৎসাহ দেন। প্রতিবেদনটি থেকে তথ্য নিয়ে আমরা এইচ এম রাসেল সুলতানের ফেসবুক প্রোফাইলটি খুঁজে পাই যেখানে লেখক তসলিমা নাসরিনের সমালোচনার জবাবে ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ তারিখের এক পোস্টে হামলাগুলি তিনিই করেছেন বলে স্বীকার করেন।
এরপর আমরা রাসেল সুলতানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাম্প্রদায়িক দাবিগুলি অস্বীকার করেন। সুলতান বুমকে বলেন, "এরা সবাই ছিল মুসলমান যৌনকর্মী। প্রায়শই এরা রাস্তায় পুরুষদের হেনস্থা ও জ্বালাতন করত। এমনকি এই জায়গাটি পুনর্বাসনের জন্য একটি নির্দিষ্ট এলাকাও ছিল না। এদের কার্যকলাপ প্রকাশ্য হওয়ার কারণেই আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম।"