ক্যাডবেরি কি বিনা পয়সায় চকোলেট বিলি করছে?
ক্যাডবেরি সংস্থা এ ধরনের কোনও অফার দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছে এবং কোনও লিঙ্কের মাধ্যমে নিজেদের যাবতীয় তথ্য তুলে দেবার ব্যাপারে গ্রাহকদের সতর্ক হতে বলেছে।
‘একটু মিষ্টিমুখ হয়ে যাক’—ক্যাডবেরির এই বিজ্ঞাপনের চমকটিকে সোশাল মিডিয়া একটু বেশি আক্ষরিক অর্থেই গ্রহণ করে ফেলেছে এবং কোনও কোনও মিডিয়ায় ক্যাডবেরি সংস্থার বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে মুফতে চকোলেট বিলির ধাপ্পা যেমন প্রচার করছে, তেমন অনেকে তা বিশ্বাসও করছে।
না, ক্যাডবেরি বিনামূল্যে কোনও চকোলেট বিলি করছে না। এ ধরনের ভুয়ো বার্তা যে এই প্রথম প্রচারিত হচ্ছে, এমনও নয়, অতীতেও এমন ঘটনার নজির আছে।
মিষ্টি কে না ভালবাসে
বুমও তার হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বরে (৭৭০০৯০৬১১১) এই মর্মে এমন বার্তা পেয়েছে, তার সত্যতা যাচাইয়ের অনুরোধ সহ।
কোনও কোনও বার্তায় দাবি করা হয়েছে, ক্যাডবেরি কোম্পানি তার ১১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৫০০ ঝুড়ি চকোলেট মুফতে বিলি করছে, কেউ আবার সংখ্যাটিকে ১৫০০ পর্যন্ত টেনে নিয়ে গেছে, আবার কারও কারও দাবি এই উপলক্ষে ক্যাডবেরি এক ডজন চকোলেটের বাক্স বিতরণ করছে।
তবে সোশাল মিডিয়ার বার্তায় এ জন্য যে লিঙ্ক দেওয়া হয়েছে, তাতে কেবল ৫০০ ঝুড়ি চকোলেট বিতরণের কথাই বলা হয়েছে।
ক্যাডবেরি সংস্থার বক্তব্য
ভাইরাল হওয়া এই ছবিটির ব্যাপারে জানতে বুম ক্যাডবেরির নির্মাতা মন্ডেলেজ ইন্ডিয়ার প্রতিক্রিয়া চায়।
“মন্ডেলেজ ইন্ডিয়া জানিয়ে দিতে চায় যে বিনামূল্যে চকোলেট বিলির ধোষণা সমন্বিত এই ওয়েবসাইটের সংযোগটি ভুয়ো। আমরা এ ধরনের কোনও পরিকল্পনা করিনি। যে সব গ্রাহক এই ওয়েবসাইটের সংযোগ খুলবেন বা শেয়ার করবেন, তাঁদের সতর্ক হতে পরামর্শ দিচ্ছি। এ ব্যাপারে গ্রাহকদের আর কোনও প্রশ্ন থাকলে suggestions@mdlz.com এই সাইটে যোগাযোগ করুন।”
এই প্রথম যে ক্যাডবেরি সংস্থা এমন ভুয়ো সোশাল মিডিয়া বার্তার শিকার হলো, এমন নয়। ২০১৮ সালে একবার রটিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, ক্যাডবেরি থেকে নাকি এইডস রোগ ছড়ায়। এক নাইজিরীয় ব্যক্তির নামে গুজব ছড়ানো হয়েছিল যে, ক্যাডবেরি সংস্থার এই কর্মচারী নাকি তার এইডস সংক্রামিত শরীরের রক্ত ইঞ্জেকশন দিয়ে চকোলেটের ভিতর ঢুকিয়ে দিয়েছে। বুম সেই ভুয়ো গুজবটির পর্দাফাঁস করেছিল এবং মন্ডেলেজ ইন্ডিয়া সংস্থার এক মুখপাত্রও গুজবটিকে ভুয়ো জানিয়ে সকলকে আশ্বস্ত করেছিলেন।
অতীতে আমাজন এবং জেট এয়ারওয়েজের মতো কোম্পানিও এ ধরনের ভুয়ো বার্তার খপ্পরে পড়ে নাস্তানাবুদ হয়েছে, যেখানে ক্রেতা-গ্রাহকদের নানারকম মুফতের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বুম সে সময়েও ওই সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলে জেনেছে যে, এ ধরনের কোনও প্রস্তাব কোম্পানির তরফে দেওয়া হয়নি।