মনজিন্দর সিরসা টুইট করলেন কাশ্মীরে তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের জঙ্গি অনুপ্রবেশের পুরানো ভিডিও
বুম অনুসন্ধান করে দেখে— ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ওই একই ভিডিও টাইমস নাও-এর প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অকালি দলের বিধায়ক মনজিন্দর এস সিরসা নিষিদ্ধ উগ্রপন্থী সংগঠন তেহরিক-উল-মুজাহিদিন-এর জঙ্গিদের কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের এক বছর পুরানো ভিডিও টুইট করলেন এবং দাবি করলেন, ভিডিওটি নতুন।
অকালি দলের এই নেতা তারিখবিহীন ভিডিওটি @adgpiকে ট্যাগ করে শেয়ার করেছেন। @adgpi ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল হ্যান্ডেল। সিরসা দাবি করেছেন, ভিডিওটি ইন্টারনেটে সম্প্রতি আপলোড করা হয়েছে। এমনকি তিনি বিষয়টি ভারতীয় সেনাবাহিনীর নজরে আনার জন্য নেটিজেনদের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।
এই টুইটটি বিভ্রান্তিকর, কারণ এটি এমন একটা সময়ে এসেছে যখন জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত নানা ভুল তথ্যে নেট দুনিয়া ভরে গেছে। ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ এবং ওই অঞ্চলের স্পেশাল স্টেটাস তুলে নেওয়ার পর এই সব ভুল তথ্য আরও বেশি ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরি মহিলারা কি ৩৭০ ধারা বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন? একটি তথ্য যাচাই
২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে মাথা ও মুখ ঢাকা জঙ্গিরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে।
যিনি ভিডিওটি রেকর্ড করেছেন, তিনি প্রত্যেককে তাদের নাম ও তারা কি উদ্দেশ্যে কাশ্মীরে এসেছে, তা জিজ্ঞাসা করছেন। তারা উত্তর দেয় যে তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করে কাশ্মীরকে মুক্ত করা।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে। ভিডিওতে ওই জঙ্গিদের তেহরিক-উল-মুজাহিদিন-এর নাম বলতে শোনা গেছে।
‘তেহরিক-উল-মুজাহিদিন’ দিয়ে টেক্সট সার্চ করে বুম দেখতে পায় যে ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ওই একই ভিডিও টাইমস নাউ নামে সংবাদ চ্যানেল ইউটিউবে আপলোড করেছিল।
এই ভিডিওটি কবে তোলা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যায় না তবে টাইমস নাউ –এর আপলোড করা ভিডিওতেও একই লোকদের একই পোশাক পরে একই কথা বলতে দেখা গেছে।
ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত দ্য হিন্দুর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আনলফুল অ্যাকটিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট বা ইউএপিএ অনুসারে ভারতে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো এবং যুব সম্প্রদায়কে সন্ত্রাসবাদে দীক্ষিত করার জন্য জম্মু ও কাশ্মীরের এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে যে নোটিস দেওয়া হয়, তাতে লেখা হয়, “সম্প্রতি টিইউএম অনেকগুলি সন্রাসবাদী আক্রমণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া গ্রেনেড আক্রমণ, অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া, হিজাবুল-মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈবার মত আতঙ্কবাদী সংগঠনগুলিকে যাতায়াত ও অর্থনৈতিক সমর্থন জোগানোর মত বেআইনি কার্যকলাপ করে চলেছে।”
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ কাশ্মীরে উত্তেজনা বাড়াচ্ছে পুরনো ভিডিয়ো আর ছবি