সাম্প্রদায়িক মন্তব্য সহ রাস্তায় নামাজ আদায়ের পুরনো ভিডিও ভাইরাল
ওই ঘটনার ভিডিওটি ২০১৮ সালে ভাইরাল হয়েছিল। কলকাতার রাস্তা ঈদের দিনে নামাজ, দুর্গাপূজার কার্নিভাল কিংবা বড়দিন পালনের জন্য বিখ্যাত।
একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারী তার ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, নামাজ পড়ার সুবিধার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে অথচ জয় শ্রী রাম বললে পুলিশ দিয়ে ধরাচ্ছে। ওই পোস্টটির ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘‘ ভাবা যায় কি নোংরা রাজনীতি করছেন মমতা ব্যানার্জি। নামাজ পড়ার জন্য মধ্যে রাস্তায় গার্ড করে নামাজ পড়তে পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। রাস্তার পাশে দাড়িয়ে,জয় শ্রী রাম, বললে পুলিশ কে দিয়ে ধরাছে।’’
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে রাস্তার উপরে দাড়িয়ে কয়েকজন মানুষকে নামাজ আদায় করতে দেখা যাচ্ছে। আবহে শোনা যাচ্ছে ইসলামিক সুরা (স্তোত্র)। কতগুলি গাড়িকে দাড়িয়ে থাকতেও দেখা যাচ্ছে। অদূরে দাড়িয়ে রয়েছে কয়েকজন পুলিশ। ভিডিওটির শেষাংশে দুজন ব্যক্তিকে সামনে দিয়ে সাইকেল চালিয়ে আস্তে দেখা যায়।
এই প্রতিবেদেনটি লেখার সময় পর্যন্ত, পোস্টটি লাইক করেছেন ৮,৭০০ জনের বেশি ও শেয়ার করেছেন ২৭৪ জন। পোস্টটি দেখা য়াবে এখানে। পোস্টটি আার্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটি ইনভিড ও পরে ইমেজ সার্চ করেছিল। ভিডিওটি আগেও বহুবার সোশ্যল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তিও আগে শেয়ার করেছিলেন ওই ভিডিওটি। যেমন মধু পূর্ণিমা কেশওয়ার ২৮ অগস্ট ২০১৮ এটি ট্যুইটারে শেয়ার করেছিলেন।
ইউটিউবে কিওয়ার্ড সার্চ করে জানা গেছে ওই একই ভিডিও ২০১৮ সালে ২৮ অগস্ট ইউটিউবে আপলোড করা হয়। যোখানে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওটি পশ্চিমবঙ্গের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। ভিডিওটি পুরনো হওয়ায় বুমের পক্ষে কোনও ভরসাযোগ্য প্রতিবেদন খুজে পাওয়া সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতে ধর্মীয় উৎসবে রাস্তার ব্যবহার কিছু নতুন ঘটনা নয়। কলকাতার রেড রোডে যেমন রয়েছে ঈদের দিনে নামাজের পরম্পরা তেমনই কলকাতায় রাস্তা দুর্গাপূজার কার্নিভাল কিংবা পার্ক স্ট্রিট-এ বড়দিন পালনের জন্য বিখ্যত।
রথ যাত্রা, রামনবমী, উত্তর প্রদেশে কানওয়ারি যাত্রা কিংবা মহারাষ্ট্রে গণপতির শোভাযাত্রায় রাস্তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। প্রশাসনের তরফে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং সুরক্ষার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হয় অনেক জায়গাতেই।
জয় শ্রী রাম বলে গ্রেফতার হবার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেখা করেছেন, এরকম একটি গুজব বুম আগে খন্ডন করেছে। প্রতিবেদনটি পড়া যাবে এখানে।