মহরম মাতমে অংশ নেওয়া এক মহিলার ছবিকে জেএনইউ-এ প্রতিবাদী ছাত্র-আন্দোলনের সঙ্গে মিথ্যে করে যুক্ত করা হয়েছে
বুম দেখে পুরনো এই ছবিটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের।
মাথা থেকে ঝরঝর করে রক্ত ঝরছে, মহরমের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী এ রকম এক মহিলার ছবি শেয়ার করা হয়েছে এই দাবি সহ যে, এটি জেএনইউ-র প্রতিবাদী ছাত্রদের উপর পুলিশি দমনপীড়নের নমুনা।
ছবিটির প্রেক্ষিত হলো ১৮ নভেম্বর, ২০১৯ হস্টেলের ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রীদের সংসদ ভবনের উদ্দেশে মিছিল। ওই মিছিলের ছাত্রদের উপর পুলিশ বেশ জোরদার হামলা চালায়। বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী সেই দমননীতির ফলে কম-বেশি আহতও হয়।
হিন্দিতে ছবিটির ক্যাপশন এ রকম: “যখন তুমি বিশ্বাসের কথা বলবে, তখন তোমার উপর পুষ্পবৃষ্টি করা হবে। আর যখন শিক্ষার সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করবে, তখন তোমাদের লাঠিপেটা করা হবে। এটাই যোগী এবং মোদীর বাস্তবতা। ওরা চায় না গরিব পরিবারের কেউ শিক্ষিত হয়ে যাক।”
ছবি সহ পোস্টটি নীচে দেওয়া হলো, আর তার আর্কাইভ সংস্করণ দেখুন এখানে।
ফোটোগ্রাফটি জনৈক মিলিন্দ ফুলজেলে তার ফেসবুক পোস্টে একটি ভুয়ো দাবি সহ শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, “মোদী সরকার যে রকম নির্মমভাবে জেএনইউ-র ছাত্রদের পেটাচ্ছে, সেটা লজ্জার ব্যাপার।”
এই ফেসবুক পোস্টটি অবশ্য এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না ডিলিট করে দেওয়ায়।
টুইটারেও ছবিটি একই দাবি সহ ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
এই ছবিটিই যখন একবার কাশ্মীরের ঘটনার চিত্র হিসাবে ভাইরাল হয়েছিল, তখন বুম সেটির পর্দাফাঁস করেছিল। সে সময়েই ছবিটির খোঁজ লাগিয়ে দেখা গিয়েছিল, এটি ২০০৫ সালের ২০ ফেব্রুয়ারী জাফারিয়া নিউজ ডট কম, নামে একটি শিয়া খবরের ওয়েবসাইট প্রথম প্রকাশ করে।
ছবিটা ২০০৫ সালের, যখন বিশ্বব্যাপী ‘আসুরা’ বা মহরমের দশম দিনটির উদযাপনের উপর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তা ছাপা হয়। ভাইরাল হওয়া সেই ছবিটির মাথায় লেবানন শব্দটি লেখা ছিল, সম্ভবত এটা বোঝাতে যে ছবিটি সেখানকার।