মার্কিন সেনারা গুলি মারছে ইসলামি জঙ্গীদের—মিথ্যে দাবি সহ শেয়ার হল ভিডিও গেমের দৃশ্য
মূল দৃশ্যটি ২০১০ সালে ইলেকট্রনিক আর্টস প্রকাশিত ‘মেডেল অফ অনার’ নামে একটি ভিডিও গেমের অংশ। যেখানে কিছু চরিত্রকে দূর থেকে গুলি করে শত্রুদের মারতে দেখা যায়।
একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে যে আমেরিকার স্নাইপাররা দু’কিলোমিটার দূর থেকে গুলি করে মেরেছে সন্ত্রাসবাদীদের। দাবিটি মিথ্যে। এই ক্লিপটি আসলে একটি ভিডিও গেম থেকে নেওয়া হয়েছে।
২ মিনিট ৪৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি ‘মেডেল অফ অনার’ নামে একটি ভিডিও গেমের অংশ। এটি একটি ফার্স্ট পারসন শুটার গেম, যেটি ইলেক্ট্রনিক আর্টস ২০১০ সালে প্রকাশ করেছিল।
এই খেলায় খেলোয়াড়রা আফগানিস্তানে আমেরিকার সৈন্যবাহিনীর বিভিন্ন অপারেশনের অভিজ্ঞতা পেতে পারেন। পুরো গেমটি নায়কের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা যায়। খেলাটি ২০০২ সালের ঘটনার উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে।
বুম এই ভিডিওটি তার হেল্পলাইন নম্বরে (৭৭০০৯০৬১১১) পেয়েছিল। ভিডিওতে একজন স্নাইপারকে প্রথমে তাক করতে ও পরে বিভিন্ন লোককে গুলি করে মারতে দেখা যাচ্ছে। স্ক্রিনে কিছু থার্মাল ইমেজারিও দেখা যাচ্ছে। নীচে ভিডিওটি দেখতে পারেন।
নীচে ভিডিওটির ক্যাপশন সমেত একটি স্ক্রিনশট দেখতে পারেন।
হিন্দিতে মূল ক্যাপশন:
अमेरिकन सैनिको ने 2 किलोमीटर की दूरी से उड़ाए इस्लामिक जिहादियो के सर मज़ेदार वीडियो देखें
বাংলা অনুবাদ:
আমেরিকার সৈন্যরা দুকিলোমিটার দূর থেকে ইসলামিক জিহাদিদের মাথা উড়িয়ে দিচ্ছে। দারুণ ভিডিওটি দেখুন।
বুম দেখতে পায় এই ভিডিওটি একই ক্যাপশনের সঙ্গে ফেসবুক ও টুইটারে ভাইরাল হয়েছে।
ফেসবুকের সব পোস্টের মধ্যে ক্যাপশন সমেত এই ভিডিওটির পোস্টটি ২০০০ বার শেয়ার করা হয়েছে। আর টুইটারে এই ভিডিওর টুইটটি ১২০০০ বারের বেশি দেখা হয়েছে।
ভিডিও গেমে উৎসাহী এবং রিভিউয়াররা ইউটিউবে এই গেমটির পূর্ণ দৈর্ঘের ওয়াক-থ্রু (অর্থাৎ, বিস্তারিত বর্ণনা ও ব্যাখ্যা) পোস্ট করেছেন। কী করে গেমটির মিশন সম্পূর্ণ করতে হয়, এই ভিডিওগুলি দেখে দর্শকরা তা বুঝে নিতে পারবেন। খেলার কিছু টিপস-ও দেওয়া হয় এখানে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বুম তেমনই কিছু ওয়াক থ্রু দেখে।
নীচে তেমনই একটি ওয়াক-থ্রু ভিডিও দেওয়া হল, যা দু’ঘণ্টারও বেশি দীর্ঘ। যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা এখানে পাওয়া যাবে, একই ছবি এবং বয়ান সমেত।
ভিডিওটিতে দৃশ্যের সঙ্গে কিছু ইন গেম নির্দেশও আছে যেমন মিশনের লক্ষ্য এবং তাতে মাথায় গুলি করা দেখাচ্ছে। পুরো দৃশ্যটি নিচে দেখা যাবে।
বুম এর আগেও ভাওরাল হওয়া ভিডিওর তথ্য যাচাই করেছে। দেখা গিয়েছে, ভিডিও গেমের দৃশ্য এবং বিভিন্ন অসম্পর্কিত ভিডিও ফুটেজ জুড়ে তাকে সেনাবাহিনীর অভিযান বলে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জইশ শিবিরে ভারতীয় বিমান হানার পরেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিও গেমের ক্লিপ এবং কম্পিউটারে তৈরি ভাইরাল ভিডিওতে একটি এ-৩৮০ বিমান ও তেলের ট্যাঙ্কারের মধ্যে সংঘর্ষের সম্ভাবনার ছবি দেখানো হয়েছে