গরুর মাথার আদলে ত্রিপুরাতে কি মিললো বিরল মাছ?
না, মূল মাছের ছবিটি একেবেরেই আলাদা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রাণীর মাথা সুনিপুন ভাবে ফটোশপ করে জুড়ে বিরলের তকমা দেওয়া হচ্ছে।
সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে গরুর মুখ সদৃশ্য একটি মাছের ছবি দিয়ে ভুয়ো দাবি করা হয়েছে সেটি ত্রিপুরার ফেনি নদীতে পাওয়া বিরল প্রজাতির মাছ। ছবিটিতে এক ব্যক্তি দুহাত দিয়ে একটি মাছারি আকারের মাছকে ধরে রয়েছেন। মাছের মুখটি গরুর মুখ সদৃশ্য। গরুর শিঙের মত দুটি পাখনাও রয়েছে মাথার দুপাশে।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, ‘দক্ষিন ত্রিপুরার ফেনি নদীতে এক বিরল প্রজাতির মাছ ধরা পরেছে ৷’
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ২৩,০০০ জনের বেশি শেয়ার ও ২,৬০০ জনের বেশি লাইক করেছেন। পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
দক্ষিন ত্রিপুরার ফেনি নদীতে বিরল প্রজাতির মাছ উদ্ধারের ছবি বলে পোস্টে দাবি করা ছবিটি একেবারে মিথ্যে। বুম রিভার্স সার্চ করে জেনেছে ছবিটি ইন্টারনেটে ছড়ানো একটি বহুল পরিচিত গুজব। ওই মাছের আসল ছবিটি এখানে দেখা যাবে।
আসল ছবিটিতে এটি একটি সাধারন মানের মাছ। কিন্তু এই ছবিটিই বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ফটোশপ হয়ে ঘুরছে। একবার এই ছবিটি কৌশলে শূকরের মাথা ফটোশপ করে জুড়ে দিয়ে ‘পিগ ফিস’ বা ‘শূকর মাছ’ বলে যেমন দাবি করা হয়েছিল। এবার সেরকম মূল ছবিটির সঙ্গে সুকৌশলে গরুর মাথা জুড়ে দিয়ে দাবি করা হয়েছে এটি বিরল প্রজাতির মাছ।
বুম ‘ত্রিপুরা’, ‘বিরল মাছ’ ইত্যাদি লিখে গুগুল সার্চ করে ত্রিপুরাতে ২০১৭ সালের অগস্ট মাসে একটি বিরল মাছ ধরা পরার খবর খুঁজে পেয়েছে। এব্যাপরারে বিস্তারিত পড়া যাবে এখানে।
জৈব বিজ্ঞানে অবশ্য বডিয়ানুস ইউনিম্যাকুলাটাস(Bodianus unimaculatus) ‘ইস্টার্ন পিগ ফিস’ বা ‘হগ ফিস’ নামে পরিচিত। সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এখানে। হোয়াক্স স্লেযার-এর পিগ ফিস নিয়ে গুজব খন্ডন করা প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
বুম নেপালের একটি অলৌকিক প্রাণী ‘ক্লাউড অ্যান্টিলোপ’ বলে ইন্টারনেটে দাবি করা গুজব খন্ডন করেছে। সেটি আসলে ছিল এক শিল্পকর্ম। বিস্তারিত পড়া যাবে এখানে।