দিল্লি পুলিশের শেহলা রশিদকে গ্রেফতার করার একটি পুরনো ভিডিও ভুয়ো দাবি সহ সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যে, গ্রেফতারির ঘটনাটি সাম্প্রতিক।
ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মহিলা পুলিশ কনস্টেবলরা শেহলা রশিদকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করছে, যখন তিনি চিৎকার করে দাবি জানাচ্ছেন—“নাজিবকে খুঁজে বের করো।”
পোস্টটি দেখা যাবে এখানে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
জম্মু-কাশ্মীর টিভি নামে একটি ফেসবুক পেজ ভিডিওটি শেয়ার করে, যার ক্যাপশন দেওয়া হয়, “দিল্লি পুলিশ কাশ্মীরি নেতা এবং জেএনইউ-র প্রেসিডেন্ট শেহলা রশিদকে গ্রেফতার করেছে l শেহলা রসিদ এবং জম্মু-কাশ্মীর জন-আন্দোলনের নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁরা কাশ্মীরে বিজেপি সরকারের তীব্র ও হিংস্র দমননীতির প্রতিবাদ করায়।”
পোস্টটি ১১ হাজার জন দেখেছে এবং ১৩০৬ জন শেয়ার করেছে।
পরে অবশ্য পেজটি ভিডিওর ক্যাপশনটিকে সংস্করণ করে লেখে—‘এটি একটি পুরনো ভিডিও।’
জম্মু-কাশ্মীর জন-আন্দোলন পার্টির সদস্য শেহলা রশিদ সম্প্রতি সংবাদের শিরোনামে আসেন কাশ্মীরের সোপিয়ান জেলায় সেনাবাহিনী ৪ জনকে নির্যাতন করেছে বলে টুইটারে অভিযোগ জানানোর পর, যে-অভিযোগ সেনার তরফে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
পোস্টটি টুইটারেও ভাইরাল হয়
টুইটটি দেখা যাবে
?s=20">এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
যার নাম ধরে শেহলা রশিদকে ভিডিওয় চিত্কার করতে দেখা যাচ্ছে, সেই নাজিব আহমেদ ছিলেন জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনলজি এমএসসি-র প্রথম বর্ষের ছাত্র, যিনি ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর নিখোঁজ হয়ে যান।
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীই তাই উল্লেখ করেছেন যে, ভিডিওটি পুরনো এবং নাজিব আহমেদের নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদ আন্দোলনের সময়ের।
আমরা ‘শেহলা রশিদ গ্রেফতার’ এবং ‘নাজিব প্রতিবাদ’ এই শব্দগুলি বসিয়ে খোঁজ চালিয়ে দেখি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর ইউটিউবে এই একই ভিডিও আপলোড করেছিল।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া প্রকাশিত পিটিআইয়ের একটি প্রতিবেদন অনুসারে তখন জেএনইউ-এর ছাত্ররা নাজিব আহমেদকে খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে সরকারের গড়িমসির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
তা ছাড়া, শেহলা রশিদের সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়ার কোনও খবরও নেই এবং আমরা তার টুইটারের টাইমলাইন যাচাই করে দেখেছি, উনি টুইটারে ২২ অগস্ট পর্যন্ত বেশ সক্রিয় রয়েছেন।