ভারতীয় সেনা অফিসারদের ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে কানাডা, এই মর্মে এক পুরনো খবরকে সাম্প্রতিক বলে শেয়ার করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠামো বদলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই, কানাডা ওই পদক্ষেপ নেয়।
ভিডিওটিতে ভাষ্যকারকে বলতে শোনা যাচ্ছে, "ভারত-কানাডা সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। ভারতীয় উর্দিধারীদের চরম অসম্মান করেছে কানাডা। দু'জন অবসরপ্রাপ্ত লেফ্টেনেন্ট জেনারেল, তিন জন ব্রিগেডিয়ার এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর দু'জন উচ্চপদস্থ অফিসারকে ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে। বলা হয়েছে, ওই সংস্থাগুলি হিংসায় লিপ্ত বলেই এই পদক্ষেপ…"
ব্রিটেনের সাংসদ লর্ড নাজির আহমেদ দু-মিনিটের ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। সেটি তৈরি করেছিল বর্তমানে বন্ধ হয়ে যাওয়া চ্যানেল 'হেডলাইন্স টুডে।'
টুইটটি দেখা যাবে এখানে। টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার উল্লেখসহ পাকিস্তানের সংবাদপত্র 'পাকিস্তান টুডে' খবরটি ছাপে।
প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে
তথ্য যাচাই
অনেকেই আহমেদকে জানান যে, ভিডিওটি পুরনো এবং ঘটনাটি ২০১০ সালে ঘটেছিল।
আমরা খবর সার্চ করি। দেখা যায়, ভিডিওটিতে যে খবর দেওয়া হয়েছে সেটি মে, ২০১০ সালের। সেই সময়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর অফিসারদের ভিসা দিতে অসম্মত হয় কানাডা।
'হিন্দুস্থান টাইমস'এ ২৭ মে ২০১০ তারিখে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়, "আর্মড ফোরসেস ট্রাইবুন্যালের একজন সদস্য, তিনজন কর্মরত ব্রিগেডিয়ার, একজন অবসরপ্রাপ্ত লে: জেনারেল এবং একজন প্রাক্তন আইবি আধিকারিককে ভিসা দিতে অসম্মত হয় কানাডা। কারণ হিসেবে বলা হয়, তাঁদের সংস্থাগুলি হিংসায় লিপ্ত।"
লেঃ জেনারেল এ এস বাহিয়ার নামের উল্লেখ ছিল ভিডিও প্রতিবেদনে। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তাঁকে ভিসা না দেওয়ার কারণ: তিনি জম্মু ও কাশ্মীরের এক "সংবেদনশীল এলাকায়" নিযুক্ত ছিলেন।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বিদেশমন্ত্রককে বিষয়টা কানাডার হাইকমিশনের কাছে উত্থাপন করতে বলে।
তাছাড়া, ভিডিওটিতে চ্যানেলের লোগো 'হেডলাইন্স টুডে' হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু মে ২০১৫ সালে ওই চ্যানেলের নতুন নামকরণ হয় ইন্ডিয়া টুডে।
সেই সময় কানাডার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন স্টিফেন হারপার, জাস্টিন ট্রুডু নয়।