একটি ছাঁটাই করা ভিডিও বিভ্রান্তিকর দাবি সহ ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় যেখানে রাজ্যের একটি স্কুলের ছাত্রীরা বাংলাদেশ ও ভারতের পতাকা ধরে রয়েছেন এবং নেপথ্যে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজছে।
অনেক সোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারী রামপুরহাট গার্লস হাই স্কুলের ভিডিওটি যা স্বাধীনতা দিবস পালনের অঙ্গ ছিল শেয়ার করে অভিযোগ করেছেন, ‘‘বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত স্কুলে গাওয়া হয়েছে, যেখানে তৃণমূল বিধায়ক পতাকা উত্তোলনে অংশ নেন।’’
৪৪ সেকেন্ডের দীর্ঘ ক্লিপটিতে ছাত্রীদের দুই প্রতিবেশী দেশের পতাকা ধরে থাকতে দেখা যায়। নেপথ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাংলা’ শোনা যায়।
এই ছাঁটাই করা ভিডিওটি টুইটারেও শেযার করা হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম দীর্ঘ ক্লিপটি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণ মন’ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের আগে বাজানো হয়। এই ভিডিওটি ‘রামপুরহাট মাই হোম টাউন’ ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়েছে।
৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিওটি শুরু হচ্ছে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর মধ্যে দিয়ে। তারপর বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজতে শুরু করে ৫৭ সেকেন্ড সময় থেকে।
পরবর্তী চারুকলা পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পারিপার্শ্বিক সংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে যা নিয়ে পূর্বতন বাংলা গঠিত ছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, অন্য আরেকটি ভিডিও যা ধারাবাহিকভাবে উপরের ভিডিও অংশের পরে তোলা হয়েছিল সেটি এখনও স্কুলটির ফেসবুক পেজে রয়েছে। বুম অনুধাবন করেছে এটি ওই একই ভিডিওর বর্ধিত অংশ। ভিডিওর অংশটি দেখায় দুটি দল জাতীয় পতাকা নিয়ে পরস্পরকে আলিঙ্গন করে এবং দুই দেশের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেয়।
যদিও আমরা যাচাই করতে পারিনি, এটি ওই স্কুলের যাচাই করা পেজ কিনা।
বুম রামপুরহাটের এমএলএ আশিষ ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
‘‘আমি পতাকা উত্তোলন করে ওই চত্বর থেকে চলে আসি। পতাকা তোলার পর হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম না, আশিষ ব্যানার্জি বুমকে বলেন।
‘যাইহোক রাখীবন্ধন এবং স্বাধীনতা দিবস একই দিন ১৫ আগস্ট হওয়ায় প্রধান লক্ষ ছিল শাশ্বত সৌভ্রাতৃতের বলিষ্ঠ বার্তা ছড়ানো। আমি জানিনা কেন এই রকমের একটি অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক বাঁক দেওয়া হচ্ছে,’ তিনি আরও বলেন।
অল্টনিউজ অনুষ্ঠানটির আয়োজক এবং প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তিনিও একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছেন।
বুম আরও অনেকগুলি ওই অনুষ্ঠানের ছাত্রীদের অংশগ্রহনের ভিডিও খুঁজে পেয়েছে যা ভারতের কৃষ্টি বহন করে এবং দেশাত্মবোধক গানের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা দিবসের সত্ত্বাকে অক্ষুন্ন রাখে।