উত্তরপ্রদেশের একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরের ক্লিপিং-এর ছবিতে এক জন মুসলিম ধর্মগুরু ৫২ জন মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। ছবিটিতে আসলে ফটোশপ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনটি লেখার সময় ছবিটি অন্তত ৪০০০ বার শেয়ার করা হয়েছে। ছবিটিতে শিরোণাম ছিল, “মাদ্রাসায় যৌন নিগ্রহ। মৌলবি গ্রেফতার। ৫২ জন ছাত্রীকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে”।
সাংবাদিক পুষ্পেন্দ্র কুলশ্রেষ্ঠর ব্যঙ্গধর্মী টুইট অ্যাকাউন্ট
?s=20">@nationalist_Om হ্যান্ডেল থেকে এই একই ছবি টুইট করা হয়েছে। সঙ্গে লেখা হয়েছে, “মিডিয়া চিন্ময়ানন্দর খবর করা থেকে ফুরসত পেলে এই খবরটির প্রতিবেদনও ছাপতে পারে। এক জন, দু’জন নয়, এই ঘটনার সঙ্গে প্রায় ৫২ জন মেয়ে জড়িত যাদের বয়স ৮ থেকে ১৮”। (मीडिया को चिन्मयानंद से फुरसत मिल गयी हो तो ये खबर भी बताने का कष्ट करें। एक नहीं, दो नहीं, पूरे 52 लड़कियों का मामला है वो 8 से 18 की उम्र की।) টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
স্বামী চিন্ময়ানন্দ উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী। তাঁর নামে আইনের এক ছাত্রী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনেন। এই সপ্তাহের প্রথম দিকে চিন্ময়ানন্দ মেয়েটির নামে তোলাবাজির অভিযোগ আনেন এবং বিশেষ তদন্তকারী দল ওই তরুণীকে গ্রেফতার করে।
সংবাদপত্রের এই প্রতিবেদনের এডিট করা ক্লিপটি ফেসবুকে একই বক্তব্যের সঙ্গে ভাইরাল হয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম দেখেছে যে সংবাদ প্রতিবেদনটির শিরোনাম ফটোশপ করা হয়েছে। শিরোনাম “মৌলবি” শব্দটিতে যে ফন্ট ব্যবহার করা হয়েছে তা বাকি শব্দগুলি থেকে আলাদা।
আমরা আরও দেখতে পাই যে ওই নিউজপেপার ক্লিপিং-এর উপর দিয়ে একটি লম্বা দাগ রয়েছে যা “মৌলবি” শব্দটির উপর নেই।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ইয়াসিনগঞ্জে। সেখান থেকে মেয়েদের উদ্ধার করা হয়েছে এবং মহিলাদের হোমে পাঠানো হয়েছে। আমরা কিছু কিওয়ার্ড সার্চ করে আসল প্রতিবেদনটি দেখতে পাই যেটি অমর উজালায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। খবরের কাগজের প্রতিবেদনের ভূয়ো ক্লিপিং-এ ‘ম্যানেজার’ শব্দটি বদলে ‘মৌলবি’ করে দেওয়া হয়েছে।
খবরের কাগজের প্রতিবেদন অনুসারে উত্তরপ্রদেশের ইয়াসিনগঞ্জে এক মাদ্রাসার ম্যানেজার কারি তৈয়েব জিয়াকে ৫২ জন মেয়ের ওপর যৌন নিগ্রহ এবং অত্যাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এই মেয়েদের বয়স ছিল ৫ থেকে ২৪।
মেয়েদেরকে মাদ্রাসায় বন্দি করে রাখা হয় এবং তাদের উপর যৌন নির্যাতন চালানো হত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে ঘটনাটি সামনে আসে যখন মেয়েরা পুরো বিষয়টি চিরকুটে লিখে ছাদ থেকে ফেলে দেয়। মেয়েদের পরে উদ্ধার করা হয় এবং হোমে পাঠানো হয়। জিয়া অবশ্য দাবি করেছেন যে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।