পাশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সমর্থকদের একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে যে এই বছর থেকে আর থাকবে না এসএসসি। পোস্টের ক্যাপসান আছে, “স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার কথা ভুলে যান এবং পূর্ণাঙ্গ শিক্ষকতার কথা মাথা থেকে বের করে দিন। পরিবর্তে পশ্চিমবঙ্গে প্রতি মাসে মাত্র ২০০০ টাকা বেতন সহ একজন শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান। "
পোস্টের আর্কাইভ ভার্সন এখানে দেখুন।
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সমর্থকদের পেজ "মোদি.সাইট" নামে ওয়েবসাইটের একটি খবর আপলোড করা হয়েছে যেখানে তারা এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে - সেখানে উল্ল্যেখ করা হয়েছে যে এখন থেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষকদের এসএসসিতে উপস্থিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। পরিবর্তে তাদের ন্যূনতম ২০০০ টাকা বেতন দিয়ে শিক্ষক হতে প্রস্তুত হতে হবে।
ফেসবুকে বিজেপি গ্রুপের কিছু ফেসবুক পোস্ট এখানে দেখুন।
বুম কে রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন। "আমরা এসএসসি পরীক্ষা বাতিল করছিনা এবং রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনো আদেশ জারি করেনি। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব করেছেন যে যেহেতু পরিমাণমত শিক্ষক নেই সমস্ত সরকারি স্কুলগুলিতে সেই জন্যে এই প্রস্তাব। স্নাতকদের এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্কুলে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তারা ইন্টার্ন হিসাবে কাজ করবে এবং তারা যথাক্রমে ২০০০ এবং ২৫০০ রুপি স্টাইপেন্ড পাবে। যদি এমন কিছু কোনও ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয় তবে আমরা আমাদের সাইবার সেল বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদ করব। এইরকম দাবি সম্পূর্ণ রূপে ভুল।“
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনেও উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষক সংকট সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সোমবার বলেছেন - রাজ্য পরিচালিত স্কুলের শিক্ষকদের সমস্যা সমাধানের জন্য তারা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরদের নিয়োগের পরিকল্পনা করছে। তাদের যথাক্রমে ২০০০ টাকা এবং ২৫০০ টাকা দেওয়া হবে হাত খরচা হিসাবে। এই প্রতিবেদনে এসএসসি পরীক্ষার অবসান ঘটানোর কোন উল্লেখ নেই।
যদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পদে শিক্ষকরা, সহকারী শিক্ষক এবং হেডমাস্টার / রাজ্য পরিচালিত স্কুলে কোনও পদে আবেদন করতে চান তবে তাকে এসএসসি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে এবং পরীক্ষার সমাপ্তির পরে তাকে স্থায়ী ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। স্কুলগুলি এবং শিক্ষকরা রাজ্য বিধি ও নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট বেতন পাবে।