অনেকগুলি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে ভুয়ো দাবি করা হচ্ছে বাংলাদেশে (Bangladesh) হিন্দুদের (Hindu) দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বুম যাচাই করে দেখে দাবিগুলি মিথ্যে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ১১ জুলাই ২০২৪ এ হওয়া বাংলাদেশের লক্ষীপুর গ্রামের একটি বাজারের, যেখানে হিন্দু মুসলিম উভয় মালিকদেরই দোকান পুড়ে যায়।
সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস শপথ গ্রহণ করেন। ৫ আগস্ট ২০২৪ পদত্যাগ করে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক হিংসার খবর আসতে থাকে।
৩৭ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে বেশ কিছু কুঠিতে ভয়াবহ আগুন জ্বলছে এবং কিছু মানুষ সেই আগুন নিভানোর চেষ্টা করছে। এই ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করে তার ক্যাপশন লেখা হচ্ছে, “লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরীর হাটে হিন্দুদের দোকানে আগুন দেওয়া হয়। আহ এই কেমন স্বাধীনাতা.? #SaveBangladeshiHindus”
ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও এখানে। আর্কাইভ টি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
এই ভিডিওটি সুদর্শন নিউজ একই দাবি সহ এক্সে পোস্ট করে।
আর্কাইভটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ভিডিওটির ক্যাপশনটিতে উল্লেখ করা লক্ষ্মীপুর মজু চৌধুরী হাটের দিয়ে কিওয়ার্ড সার্চ করলে সেখানে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু খবরের প্রতিবেদন পায়।
১১ জুলাই ২০২৪ বণিক বার্তাতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী ওই এলাকার ১৫ টি দোকান অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় যার ফলে প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। লক্ষীপুরের সংসদ নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
বাংলা নিউজ 24 প্রতিবেদন থেকে জানা যায় মার্কেটে একটি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের ফলে অগ্নিকাণ্ডটি ঘটে। প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “অপু স্টোরের মালিক আমজাদ হোসেন অপু, ওমর স্টোরের মালিক বাবুল মিয়া জানান, আগুনে পুড়ে তাদের মুদি দোকানের প্রায় ২৩ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।”
এছাড়াও সময় সংবাদের প্রতিবেদনে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু দোকানের নাম উল্লেখ করা হয়, "আব্দুল মান্নান মটর পার্টস, রাকিব টায়ার, সৌরভ স্টোর"। এই নাম গুলির মধ্যে মুসলিম ব্যবসায়ীদের নাম আমরা লক্ষ্য করি।
আমরা দেখতে পাই 'উকে সিফাত ০০৭' ও বাঙ্গালী স্টোরি (Bengali Story) চ্যানেল ইউটিউবে মজু চৌধুরী হাট বাজারের অগ্নিকান্ডের ভিডিও আপলোড করে। ওই ভিডিওগুলির সাথে ভাইরাল ভিডিওটির অনেক মিল খুঁজে পাই। ভিডিওগুলোর তুলনা নিতে দেওয়া হল