সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি সমুদ্রসেতুর ছবি ভাইরাল হয়েছে। নান্দনিক ওই ছবিটি শেয়ার করে বিভ্রান্তিকর দাবি করা হচ্ছে যে সমুদ্রসেতুটি মুম্বইয়ে (MUmbai) অবস্থিত।
বুম দেখে দাবিটি ভুয়ো এবং ভাইরাল ছবিটি চীনের জিয়াওঝোউ (Jiaozhou) সমুদ্রসেতুর যা ২০১১ সালে জনগণের যাতায়তের জন্য খুলে দেওয়া হয়।
২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসে মহারাষ্ট্রে আরব সাগরের উপর ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু অটল সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অটল সেতু 'মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক' প্রকল্পের একটি অংশ।
ভাইরাল পোস্টটি শেয়ার করে এক ব্যবহারকারী ফেসবুকে লিখেছেন, "এটা বিদেশ নয়, মুম্বাই এর হাইওয়ে...এবার বলুন,কেন 400 পার হবে না... Mumbai India।"
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
আরও এক ফেসবুক ব্যবহারকারী পোস্টটি শেয়ার করেছেন একই ক্যাপশনসহ।
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম দাবিটির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমেই ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। এরফলে আমরা ৩০ জুন ২০১১ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওই সেতুটির ছবি দেখতে পাই।
প্রতিবেদনটি থেকে আমরা জানতে পারি সমুদ্রসেতুটি মুম্বইয়ের নয় বরং চীনের সমুদ্রসেতু, জিয়াওঝোউ সেতুর ছবি। নীচে প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটির সাথে ভাইরাল পোস্টের ছবির তুলনা দেওয়া হল।
এরপর, আমরা গেটি ইমেজেসের ওয়েবসাইটে ভাইরাল পোস্টের অনুরূপ জিয়াওঝোউ সেতুটির একটি ছবি দেখতে পাই। ছবিটি দেখুন এখানে।
এই সমুদ্রসেতুটির ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে বুম গুগলে একটি সম্পর্কিত কিওয়ার্ড সার্চ করে দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন পায়। ৩০ জুন ২০১১ তারিখে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনা সমুদ্রসেতুটি তৎকালীন বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু ছিল। দ্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিত প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।
জিয়াওঝোউ উপসাগরের উপর তৈরি সেতুটি রাজধানী বেইজিংয়ের দক্ষিণ পূর্বে অবস্থিত বন্দর নগরী চিংদাও শহর এবং হুয়াংদাও শিল্পাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করে। আমরা আরও জানতে পারি সেতুটি তৈরি করতে চার বছর সময় লেগেছে এবং সেতুটি ৫০০০টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে।
আমরা একজন এক্স ব্যবহারকারীর ২৬ জুলাই ২০২৩ তারিখে পোস্ট করা জিয়াওঝোউ সমুদ্রসেতুর একটি ভিডিওতে ভাইরাল ছবিটির অবিকল দৃশ্য দেখতে পাই।
পোস্টটি দেখুন এখানে।
এছাড়াও, আমরা সিসিটিভির ফেসবুক পেজেও জিয়াওঝোউ সমুদ্রসেতুটির ভিডিও দেখতে পাই। পোস্টটির ক্যাপশন থেকে জানা যায় ৪১ কিমি দীর্ঘ সেতুটির ২৮ কিমি সমুদ্রের উপরে তৈরি।
পোস্টটি দেখুন এখানে।