সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত-বাংলাদেশের কাঁটাতারের সীমান্তের (India-Bangladesh border) দুই ধারে মানুষের ভিড়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভ্রান্তিকর দাবি করেছেন ভিডিওতে বাংলাদেশের উদ্বাস্তু (Refugees) মানুষেরা ভারতে আসার জন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় ভিড় করেছেন।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল ভিডিওটি পুরনো। ভিডিওতে ২০১৮ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদযাপিত মিলন মেলার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে।
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পদত্যাগ করা এবং দেশ ছেড়ে পালানোর পর সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন সমাপ্ত হয় ৫ আগস্ট ২০২৪-এ। কিন্তু, আন্দোলন শেষ হলেও শান্তি ফিরে আসেনি বাংলাদেশে বরং চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা আক্রমণের সম্মুখীন হচ্ছে।
এরই মধ্যে কাঁটাতারের পাশে মানুষের ভিড়ের ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ভিডিওটি শেয়ার করে ক্যাপশন হিসাবে লিখেছেন, "ভারত বাংলাদেশ, সীমান্তে বাংলাদেশের একটি শব্দ শুধু প্রাণ বাঁচাও হে ভারত।"
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম দাবিটির সত্যতা যাচাই করতে প্রথমে ভাইরাল ভিডিওর কিফ্রেমের রিভার্স ইমেজ সার্চ করে। সার্চের মাধ্যমে আমরা ইউটিউবে ছয় বছর আগে আপলোড করা একটি ভিডিও দেখতে পাই যেখানে ভাইরাল ভিডিওর অনুরূপ দৃশ্য দেখা যায়।
২০১৮ সালে আপলোড করা ভিডিওটির বর্ণনা অনুযায়ী সেখানে ওই বছর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অনুষ্ঠিত মিলন মেলার দৃশ্য দেখা যায়।
নীচে ভাইরাল ভিডিও এবং আমাদের দেখা ইউটিউব ভিডিওর স্ক্রিনশটের একটি তুলনা দেখা যাবে।
ইউটিউবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিভিন্ন বছরে উদযাপিত মিলন মেলার এই ধরণের বেশ কয়েকটি ভিডিও দেখা যায়।
নিউজ ১৮ বাংলার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় স্থানীয়দের মতে অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুরের একটি গ্রামের কালী পুজোকে শতবর্ষ পুরনো এক মেলা বসত। দেশভাগের পরে কালী পুজোটি এখন বাংলাদেশের হিন্দুরা করেন তবে, সীমান্তের দুই দিকেই বিশাল মেলা বসে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ব্লকে দুই দিনাজপুর, শিলিগুড়ি এবং বিহার থেকেও আসা লোকের সমাগম হয়।
সারাবছর কড়া নিরাপত্তা থাকলেও মেলার সময় বিসিএফ বাহিনি সেখানকার মানুষকে মেলা উদযাপন করতে সাহাজ্য করে। প্রতিবেদন অনুসারে, "এদিন মিলন মেলায় অংশ নেওয়া দুপার বাংলার মানুষ একে অপরের উদ্দেশ্যে নতুন জামাকাপড় মিষ্টির পেকেট ছুঁড়ে দিয়েছেন নিজস্ব আবেগে।"
প্রতিবেদনটি দেখুন এখানে।