সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের (Indian Oil) লোগোসহ একটি ভুয়ো নোটিশ (fake notice) ভাইরাল হয়েছে।
ইংরেজিতে লেখা ওই নোটিশে বলা হয়েছে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে লোকে যেন গাড়ির জ্বালানি ট্যাঙ্ক পুরোপুরি ভর্তি না করে এবং বাতাস চলাচল করার জায়গা রাখে। নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে পুরোপুরি জ্বালানি ট্যাঙ্ক ভর্তি করার কারণে পাঁচটি বিস্ফোরণও হয়েছে। উপরন্তু, নোটিশটির শেষে এই বার্তাটি সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে যাতে সবাই দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলতে পারে।
বুম দেখে নোটিশটি ভুয়ো এবং ইন্ডিয়ান অয়েল এমন কোনও নোটিশ জারি করেনি । ২০১৯ সালে তারা এই গুজবটি অস্বীকার করে এক্সে একটি পোস্টও করেছিল।
এই বার্তাটি একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী শেয়ার করে ক্যাপশন হিসাবে লিখেছেন, "এরসাথে সম্ভব হলে সাথে এক টুকরো শোলা রাখুন তেল ট্যাঙ্কের মাপে - যেটা গাড়ি রেখেছেন এমন জায়গায় যেখানে কোন একসময় রোদ এসে পড়ছে, সেক্ষেত্রে শোলাটা ঢাকনার কাজ করে তেলের ট্যাঙ্ক গরম করে তুলবে না এবং দূর্ঘটনার সম্ভাবনা নির্মূল করবে। না পারলে রোদে রাখা গাড়ি স্টার্ট দেওয়ার আগে তেলের ট্যাঙ্ক খুলে গরম বাতাস বার করে দিন।"
পোস্টটি দেখুন এখানে, আর্কাইভ দেখুন এখানে।
তথ্য যাচাই
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে একই মেসেজ ভাইরাল হলে বুম তার তথ্য যাচাই করে। তখন আমরা গুগলে কিওয়ার্ড সার্চ করে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের ৩ জুন ২০১৯ তারিখে করা একটি এক্স পোস্ট পাই। ওই পোস্টে ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে ভাইরাল মেসেজটিকে অস্বীকার করে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
পোস্টটি দেখুন এখানে।
ইংরেজিতে লেখা ওই বিবৃতিতে ইন্ডিয়ান অয়েল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গরমকালে জ্বালানি ট্যাঙ্কে হওয়া পাঁচটি বিস্ফোরণ সংক্রান্ত জারি করা নোটিশটিকে গুজব বলে অস্বীকার করে।
এক্সে করা পোস্টটিতে তারা স্পষ্ট করে জানায় যে অটোমোবাইল প্রস্তুতকারকরা পারফরম্যান্স, আবহাওয়া, নিরাপত্তা এইসব দিক ভেবেই তবে গাড়ি তৈরী করে। জ্বালানি ট্যাঙ্কে পেট্রোলের সর্বোচ্চ মাত্রা এর ব্যতিক্রম নয়। তাই, গাড়িতে প্রস্তুতকারকের চিহ্নিত সর্বোচ্চ মাত্রা পর্যন্ত পেট্রোল ভরা, শীত-গ্রীষ্ম নিরপেক্ষ সবসময়ই সুরক্ষিত।