বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ২০২১-এর ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) (UPSC) পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে ভুল তথ্য প্রকাশ করে বলেছে যে, ওই পরীক্ষার প্রথম চারটি স্থানই মহিলারা অধিকার করেছেন। চতুর্থ স্থানের প্রার্থী একজন পুরুষ হলেও, তাঁকে ভুলবসত মহিলা (women) বলে প্রচার করা হয়েছে।
ইউপিএসসি-২০২১-এর পরীক্ষার ফলাফল ৩০ মে, ২০২২-এ প্রকাশিত হয়। ইউপিএসসি'র তরফ থেকে জানানো হয় ওই পরীক্ষায় ৬৮৫ প্রার্থী পাস করেছেন। ফলাফল থেকে জানা যায়, প্রথম তিনটি স্থান অধিকার করেন মহিলা প্রার্থীরা। চতুর্থ স্থানটি পান একজন পুরুষ প্রার্থী—ঐশ্বর্য বর্মা (Aisharya Verma)। বর্মার নামটি সংবাদ মাধ্যমগুলিকে বিভ্রান্ত করে। তাঁদের ধারণা হয় ওই ব্যক্তি একজন মহিলা। ফলে, প্রথম চারটি স্থানই মহিলাদের দখলে গেছে, এই মর্মে খবর প্রকাশ হয়।
'দ্য ইকনমিক টাইমস'-এর প্রতিবেদনে, বর্মাকে মহিলা বলে ধরে নিয়ে বলা হয় যে, প্রথম চারটি স্থানই গেছে মহিলাদের দখলে।
আর্কাইভ দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
সিএনএন নিউজ-১৮ একই ভুল করে। তাদের হেডলাইনে লেখা হয়, "ইউপিএসসি সিভিল সার্ভিসেস ২০২১-এর ফলাফলের লাইভ আপডেট: চারটি শীর্ষ স্থান মেয়েদের দখলে। মেরিট লিস্ট দেখুন"।
আর্কাইভ দেখুন এখানে।
আরও পড়ুন:
তথ্য যাচাই
ঐশ্বর্য বর্মা, যিনি ইউপিএসসি-২০২১ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় চতুর্থ স্থানে আছেন, তাঁর ওপর খবর ও তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকার দেখতে পায় বুম। রিপোর্টে বলা হয়, মধ্যপ্রদেশর উজ্জয়িনী থেকে একজন পুরুষ প্রর্থী উনি। ওই সাক্ষাৎকার-ভিত্তিক প্রতিবেদনে আমরা তাঁর ছবিও দেখতে পাই।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটি নেয়। তাদের রিপোর্টে বলা হয়, উনি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে উনি তাঁর ব্যাঙ্কে কর্মরত বাবার সঙ্গে আছেন উত্তরপ্রদেশের বারেইলিতে। ওই সংবাদ প্রতিবেদনে তাঁর ছবিও প্রকাশিত হয়। এবং শিরোনামে বলা হয়: "পুরুষদের মধ্যে ইউপিএসসির শীর্ষস্থানে রয়েছেন উজ্জয়িনীর ঐশ্বর্য বর্মা"।
পড়ুন এখানে।
তাছাড়া, সাংবাদিকদের করা বেশ কিছু টুইটও আমাদের নজরে আসে। তাতে বলা হয়, সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে মহিলা বলে দাবি করা হলেও, বর্মা হলেন একজন পুরুষ প্রার্থী।
মধ্যপ্রদেশের মু্খ্যমন্ত্রী তাঁকে উজ্জয়িনীর ব্যক্তি পুরুষ হিসেবেই অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: