Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির ভারতীয়দের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এই পোস্টটি ভুয়ো

বুম যাচাই করে দেখে পোস্টের এই স্ক্রিনশট সম্পাদিত এবং এমন কোনও পোস্ট রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুর তরফে করা হয়নি

By -  Hazel Gandhi |

9 Jan 2024 1:06 PM IST

মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি (Maldives President) মহম্মদ মুইজ্জু (President Muizzu) সংক্রান্ত একটি ভুয়ো স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি দেখা যায় যেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) বিরুদ্ধে করা তার মন্ত্রীদের মন্তব্য নিয়ে ভারতীয়দের কাছে 'হাত জোর' করে ক্ষমা চাইছেন।

বুম যাচাই করে দেখে এমন কোনও বিবৃতি রাষ্ট্রপতি মুইজ্জু দেননি (যেটি দাবি করা হয় তিনি পরে মুছে দেন) এবং এই স্ক্রিনশটটি ভুয়ো।

মালদ্বীপ সরকার সম্প্রতি মালশা শরীফ, মরিয়ম শিউনা এবং আবদুল্লাহ মাহজুম মজিদ নামক তিনজন মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে "ক্লাউন", "সন্ত্রাসী" এবং "ইজরায়েলের পুতুল" বলার জন্য। এই কমেন্টগুলি প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপের সফরের একটি পোস্টের তলায় করা হয়। এরপর #boycottmaldives এবং #supportindianislands জাতীয় হ্যাশট্যাগ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং বেশ কিছু তারকা যার মধ্যে অক্ষয় কুমারও উপস্থিত আছেন, এই বিষয়ের নিন্দা করে ভারতীয়দের মালদ্বীপের জায়গায় লাক্ষাদ্বীপের সফরে যেতে অনুরোধ করেন।

মুইজ্জু, যিনি আগের বছর রাষ্ট্রপতির নির্বাচন জেতেন, তার মুখে ভারত বিরোধী বক্তব্য শোনা যায়। এছাড়াও, তিনি চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কারণেও পরিচিত।

এইসবের মধ্যেই উঠে এলো সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট যেটি দাবি করা হয় রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর নিজস্ব এক্স (প্রাক্তন টুইটার) প্রোফাইলের একটি পোস্ট যেখানে ইংরেজিতে লেখা দেখা যায়,"আমাদের মন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্য আমি আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চাই। ভারতের বন্ধুদের আমরা স্বাগত জানাতে এবং আমাদের দেশগুলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার আশা করছি।" এই পোস্টের অনুযায়ী অনুসারে, এটি করা হয় ৭ জানুয়ারী, ২০২৪ তারিখে।

এই স্ক্রিনশট ডানপন্থী এক্স ব্যবহারকারী ঋষি বাগড়ীকে শেয়ার করতে দেখা যায় এবং তিনি ক্যাপশন হিসেবে লেখেন,"মালদ্বীপের্ রাষ্ট্রপতি হাত জোর করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলেন"।


পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন এবং তার আর্কাইভ এখানে দেখা যাবে।

এই পোস্ট একই ধরণের ক্যাপশন সহ ফেসবুকেও পোস্ট হতে দেখা যায়।


পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

তথ্য যাচাই

বুম দেখে স্ক্রিনশটটি ভুয়ো এবং এই ধরণের পোস্ট রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর তরফে করা হয়নি।

আমরা রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর এক্স প্রোফাইল খতিয়ে দেখি কিন্তু এমন কোনও পোস্ট তার প্রোফাইলে মেলেনি। তার করা শেষ পোস্ট ৫ জানুয়ারী, ২০২৪ তারিখের।


এছাড়াও আমরা তার পেজের ক্যাশড সংস্করণ থেকে এই ধরণের পোস্ট খোঁজার চেষ্টা করি যেটি হয়তো ডিলিট করা হতে পারত। তার প্রোফাইলে দেখা যায় শেষ পোস্টটি করা হয় জানুয়ারী ৫ তারিখে, ৭ জানুয়ারী তারিখে নয় যা পোস্টে দাবি করা হয়।

আমরা সোশ্যাল ব্লেড নামক সোশ্যাল মিডিয়া সক্রিয়তার একটি টুলেও রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর প্রোফাইলের পোস্ট দেখার চেষ্টা করি কিন্তু এখানেও ৭ জানুয়ারী তারিখে কোনও পোস্ট হওয়ার উল্লেখ দেখা যায়নি।



এরপর আমরা এক্সে একটি বিস্তারিত সার্চ করি এমন কোনও উত্তরের যা হয়ত মুইজ্জুর এই টুইটের ভিত্তিতে করা হয়ে থাকতে পারত। কিন্তু এমন ধরণের পোস্টের উত্তর ৫ জানুয়ারী অব্দিই উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। 

এক্সে কোনও পোস্ট মুছে দেওয়া হলেও তার ভিত্তিতে উত্তরগুলি উপস্থিত থাকে, যা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমের ক্ষেত্রে হয়না।

মুইজ্জুর দপ্তরের একজন মুখপাত্র এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবিসি সংবাদমাধ্যমকে জানান,"যে সরকারি আধিকারিকরা এর সাথে যুক্ত ছিলেন, তাদেরকে নিজেদের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মালদ্বীপ সরকার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়," মালদ্বীপ সরকার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদেশী নেতাদের বিষয় অবমাননাকর মন্তব্যের বিষয়টি জানে। তাদের এই মন্তব্যগুলি ব্যক্তিগত এবং মালদ্বীপের সরকারের মতকে প্রতিনিধিত্ব করেনা।"



 

Tags:

Related Stories