Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

২০১৫ সালে ইয়েমেনে সুরক্ষা যাচাই আফগানিস্তান বিমানবন্দরের ছবি বলে ছড়াল

২০১৫ সালের জুন মাসে যুদ্ধ বিদীর্ণ ইয়েমেনে ছবিটি তোলেন মধ্যপ্রাচ্যের সাংবাদিক আমজাদ টড্রস।

By - Sk Badiruddin | 30 Aug 2021 5:09 AM GMT

যুদ্ধ বিদীর্ণ ইয়েমেনে (Yemen) হাউথি (Houthi rebels) বিদ্রোহীদের দ্বারা সুরক্ষা যাচাইয়ের একটি পুরনো ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় এই মিথ্যে দাবি সমেত শেয়ার করা হচ্ছে যে, দৃশ্যটি আফগানিস্তানের (Afghanistan)। সে দেশের রাজধানী দখল করার পর, তালিবান (Taliban) নাকি সেখানকার বিমান বন্দরে (Airport) সুরক্ষা যাচাই করতে দেখা যাচ্ছে।

তালিবানের দ্বারা কাবুল দখল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানায় আফগানিস্তান থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যে তাদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নেবে। পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, ওই নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যেই তাঁদের সেনাদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার লক্ষ্যে এগোচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হাজার হাজার মানুষ উদ্ধারকারী বিমানে ওঠার চেষ্টা করলে, কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরে স্থানীয়দের উদ্ধার ও দেশ ছেড়ে মানুষের পালানোর মরিয়া দৃশ্যগুলি ছড়িয়ে পড়ে। বিগত এক সপ্তাহে, পদপৃষ্ট হয়ে ও বন্দুকের গুলিতে ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আবার কাবুল বিমানবন্দরে সান্ত্রাসী হানায় ৭৯ জন আফগান নাগরিক মারা যায়। ১৩ জন মার্কিন সেনা কর্মীর মৃত্যু হয় ওই আত্মঘাতী হামলায়।

ছবিটি ফেসবুকে ব্যাপক ভাবে শেয়ার করা হয়েছে। ক্যাপশনে বলা হয়েছে, "আফগানিস্তান বিমান বন্দরে সুরক্ষা যাচাই।"

দু'টি পোস্ট দেখুন এখানেএখানে। 



একই দাবি সহ লালনটপ-এর এক সাংবাদিক ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেন।

তথ্য যাচাই

বুম রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে, মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস নিউজ'র মধ্যপ্রাচ্যের প্রযোজক আমজাদ টড্রস-এর একটি টুইট দেখতে পাই আমরা। ১ জুলাই ২০১৫-র ওই টুইটে উনি লেখেন, "ইয়েমেনের স্মৃতি: একটি জনসভায় যোগ দিতে আসা এক ব্যক্তিকে হাউথি যোদ্ধারা তল্লাসি করছেন। ছুরি, শিক, মেশিনগান নিয়ে যাওয়ার অনুমতি আছে!"

২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর, একটি ওয়েবসাইটেও ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ওই লেখায় বলা হয় ছবিটি ইয়েমেনে তোলা।

মার্কিন সম্প্রচারক 'সিবিএস ইভনিং নিউজ'-এ, 'রেয়ার লুক ইনসাইড ব্যাটল-টর্নে ইয়েমেন' (যুদ্ধ-বিদীর্ণ ইয়েমেনের অভ্যন্তরের এক বিরল দৃশ্য) শীর্ষক এক সংবাদ প্রতিবেদনেও আমরা একই ধরনের স্ক্রিনগ্র্যাব দেখতে পাই। ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ সংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনটি ১৬ জুন, ২০১৫ আপলোড করা হয়। রিপোর্টটির ১ মিনিট ২১ সেকেন্ড সময়ে একই ব্যক্তিদের দেখা যায় ভিডিওটিতে। ওই সংবাদ প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ইসলামের দুই শাখার মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে। সুন্নিদের মদত দিচ্ছে সৌদি আরব আর শিয়াদের সাহায্য করছে ইরান।

সিবিএস নিউজ রয়টার্স-কে নিশ্চিত করে জানায় যে, ২০১৫ সালে টড্রস ছবিটি ইয়েমেনে তোলেন। বুম আমজাদ টড্রসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, উনি একই কথা বলেন। "হ্যাঁ, ২০১৫ সালের জুন মাসে আমি ছবিটি ইয়েমেনে তুলে ছিলাম।"


ভাইরাল ছবি ও সিবিএস-এ সম্প্রচারিত দৃশ্যের নিচে তুলনা করা হল।


হাউথিরা হল উত্তর ইয়েমেনের জায়েদি শিয়া বিদ্রোহী। শুরু করা ধর্মীয় এক আন্দোলন আন্তর্জাতিক সংঘাতের জন্ম দেয়। ২০১৪ সালের শেষের দিকে, হাউথিরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে নেন। ২০১৫ সালে সৌদি আরবের মদতে এক জোট সরকারের পতন ঘটে। ইয়েমেনের নির্বাসিত সরকার সৌদি আরব ও ইউএইতে তাদের সহযোগীদের কাছে এই মর্মে আবেদন করেন যে, তারা যেন সামরিক অভিযান চালিয়ে হাউথিদের বিতাড়িত করে। বিদ্রোহ অচিরেই এক যুদ্ধের আকার ধারণ করে যা 'সাদাহ সংঘাত' নামে পরিচিত হয়। ওই যুদ্ধ এক গভীর মানবিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছে।

Related Stories