ভারতীয় জনতা পার্টির (BJP) পশ্চিমবঙ্গ শাখা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সম্প্রতি একটি এক্স পোস্টে অভিযোগ করেন, দক্ষিণবঙ্গের বারুইপুরে ভাড়াটে হিসেবে বসবাসকারী দুই কাশ্মীরি ব্যক্তি তাদের বাড়ির ছাদে 'উচ্চ-কার্যক্ষমতাসম্পন্ন ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ব্রিজ' বসিয়েছে।
বুম বারুইপুর পুলিশের সাথে ভাইরাল এই দাবির বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারা অভিযোগটি অস্বীকার করে জানায়, ওই দুই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের, কাশ্মীরের নয়।
শুভেন্দু দুটি ছবির এক কোলাজ পোস্ট করেন - যাতে দুই ব্যক্তির এক অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসের হাতে লেখা ঠিকানা ও একটি জিওফাইবার ওয়াই-ফাই রাউটারের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে করা সেই পোস্টে বাসভবনে 'কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ চলছে' লিখেও সতর্ক করেন তিনি।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় অবধি পোস্টটি ১.৬ মিলিয়ন বার দেখা হয়েছে।
পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
উক্ত ব্যক্তিরা মধ্যপ্রদেশের, কাশ্মীরের নয়: বারুইপুরের এসপি
বুম বারুইপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) পলাশ চন্দ্র ঢালির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দাবিটি অস্বীকার করে জানান, ওই ব্যক্তিরা কাশ্মীরের বাসিন্দা। ঢালি বুমকে বলেন, "আমরা ওদের পরিচয় যাচাই করেছি এবং আধার কার্ডে দেওয়া তাদের তথ্যেরও বিশদে যাচাই করেছি। ওই দুই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের সিওয়ান এবং রেওয়ার বাসিন্দা। ওনারা সাধারণ নাগরিক। আমরা জানতে পেরেছি তাদের কাশ্মীরের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই।"
ঢালি বুমকে আরও জানান, ব্যবসার উদ্দেশ্যে তারা এক বছর আগে কলকাতায় এসেছিলেন। ঢালি বলেন, "৪ এপ্রিল ওনারা বারুইপুরে ভাড়া বাড়িতে চলে আসেন এবং এলাকায় মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। আমরা বাড়ির মালিকের সাথেও কথা বলেছি এবং ভাড়াটেদের বিবরণ জমা দিতে কেন দেরি হচ্ছে সেব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করছি।"
এক্স হ্যান্ডেলে করা এক পোস্টে বারুইপুর জেলা পুলিশ জানায়, হিন্দু এবং মুসলিম - ওই দুই ব্যক্তি পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং পশ্চিমবঙ্গে মৎস্যচাষের ব্যবসার সুযোগ খুঁজছিলেন।
পোস্টটির আর্কাইভ দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে বৈসরন উপত্যকায় হওয়া ভয়াবহ এক সন্ত্রাসবাদী হামলা সম্প্রতি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। জানা যায়, লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি সংগঠনের সাথে সম্পর্কিত একটি কট্টরপন্থী গোষ্ঠী এই হামলা চালিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পহেলগাঁওয়ে যখন পর্যটকরা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরছিলেন, সেনা পোশাক পরা জঙ্গিরা তখন তারা হিন্দু পুরুষদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বেঁচে যাওয়া কয়েকজন জানান, গুলি করার আগে আক্রমণকারীরা তাদের ধর্মীয় পরিচয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল।
বুম কলকাতায় অবস্থিত একটি জিও সার্ভিস সেন্টারের সাথেও যোগাযোগ করে। সেখানকার একজন প্রতিনিধি বুমকে নিশ্চিত করে জানান, ভাইরাল ছবিতে জিও এয়ারফাইবার প্লাস ওয়াই-ফাই রাউটারের বাহ্যিক ইউনিট দেখা যায়।
জিওর অনুরূপ বাহ্যিক ইউনিটগুলি দেখা যাবে এখানে এবং এখানে।