একটি ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিলাসপুরে (Bilaspur) দুর্গা-প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রার (Durga idol immersion) একটি ট্রাক লক্ষ্য করে এক দল লোক ইঁটপাটকেল ছুঁড়ে মাইক আর আলোর নষ্ট করছে, ভিডিওটি শেয়ার করে সাম্প্রদায়িক দাবি করা হচ্ছে যে হিন্দুদের দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে হামলা করা হয়েছে।
কিন্তু বুম দেখে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সাম্প্রদায়িক যোগ নেই; এটি আসলে কোন দল আগে প্রতিমা নিরঞ্জন করবে তা নিয়ে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরের দুই পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে রেষারেষির পরিণাম।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে এক দল লোককে ট্রাকে সাজানো বিসর্জনের মাইক, আলো লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে ভাঙচুর করতে দেখা যাচ্ছে। কয়েকজনকে আবার পাথর ও লাঠির ঘায়ে ট্রাকের উইন্ডস্ক্রিনের কাচ ভাঙার অপচেষ্টা করতেও দেখা যাচ্ছে।
ভিডিওটির ক্যাপশন হিন্দি থেকে অনুবাদ করলে হয়, "আর কত কাল হিন্দুরা তাদের নিজেদের দেশে উৎসব পালন করতে গিয়ে মার খাবে? বিলাসপুরের ইতিহাসে এই প্রথম এ ধরনের নিষ্ঠুর ঘটনা... মা দুর্গার প্রতিমাকে বিলাসপুরের সদর বাজার রোড দিয়ে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। মা দুর্গা, হিন্দুদের উপর হামলা লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল, তরোয়াল নিয়ে...
(अपने ही देश में अपने तीज- त्यौहार मनाने पर कब तक पिटेगा हिंदू ? बिलासपुर की इतिहास में पहली बार इस तरह क्रूरता .. बिलासपुर सदर बाजार की सड़क से माँ दुर्गा विषर्जन करने जा रहे हिन्दुओ पर तलवार लाठी डंडे रॉड से हमला माँ दुर्गा के मूर्ति पर हमला हिन्दुओ पर पत्थरबाजी ...)
পোস্টটি দেখুন এখানে।
এই পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক আদালতে প্রধান বিচারপতি দলবীর ভাণ্ডারি ভুয়ো দাবি ফের ছড়াল
তথ্য যাচাই
বুম "বিলাসপুরের দুর্গাপ্রতিমা শোভাযাত্রা সংঘাত " (Bilaspur Durga Procession Clash) এই কিওয়ার্ডগুলি বসিয়ে অনুসন্ধান করে ৭ অক্টোবর ২০২২ এএনআই সংবাদসংস্থার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পায়।
প্রতিবেদনটিতে অনুযায়ী—"দুই দল দুর্গা প্যান্ডেল কমিটির মধ্যে রেষারেষি–দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জনকারীর একাংশ– সদর বাজার ও করুণা চকের কাছে ডিজে-র গাড়ি নিয়ে গোলমাল বাধে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ বাড়তে থাকে এবং দুই দলই ইট-পাটকেল নিয়ে পরস্পরের উপর চড়াও হয়, রাস্তায় গোলমাল বাঁধে। অভিযুক্তরা লাঠিসোঁটা ব্যবহার করে ফলে অনেকেই আহত হয়। এমনকী দুষ্কৃতীদের দ্বারা তাণ্ডবে প্রতিমাবাহী গাড়ি এবং প্রতিমাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।"
এএনআই-এর নিজস্ব টুইটার হ্যান্ডেল থেকে ৭ অক্টোবর ২০২২ ভিডিওটি টুইট করা হয়।
টুইটটি দেখুন এখানে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজেন্দ্র জয়সওয়াল ঘটনাটি সম্পর্কে এএনআই-কে বলেন, "কে আগে প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাবে, এই নিয়ে দুটি দুর্গাপুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।"
ঘটনাটিতে কোনও সাম্প্রদায়িক যোগ আছে কিনা জানতে বুম রাজেন্দ্র জয়সওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তিনি বুমকে বলেন, "না, এর মধ্যে কোনও সাম্প্রদায়িক দিক নেই। দুই দলের সদস্যই হিন্দু। তারা দুটি আলদা আলাদা পুজো কমিটির সদস্য, কে আগে যাবে এই নিয়ে রেষারেষির কারণেই ওরা পরস্পরকে আক্রমণ করে। আমরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছি। তারা সকলেই হিুন্দু সম্প্রদায়ের।"
আরও পড়ুন: ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে আজানের দৃশ্য দাবিতে ছড়াল সম্পাদিত ভিডিও