রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ ফস্কে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) স্বপক্ষে কথা বলছেন দাবি করে সম্প্রতি এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভাইরাল ওই ভিডিওতে শুভেন্দুকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থনকারী স্লোগান 'তৃণমূলের গর্জন, বিরোধীদের বিসর্জন' দিতে শোনা যায়।
১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপের ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়, "ভুল করে বললেও এই কথাটাই সঠিক। যখন পুরোনো স্বভাব মনে পরে যায়"।
বুম যাচাই করে দেখে ভাইরাল এই ভিডিও সম্পাদিত। আসল বক্তব্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে শুভেন্দুকে এমন মন্তব্য করতে শোনা যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাটাল নির্বাচনী এলাকার আধিকারিক ফেসবুক পেজের তরফ থেকে ভিডিওটি পোস্ট করে তার ক্যাপশন হিসেবে লেখা হয়, "তৃনমূলের গর্জন বিরোধী দের বিসর্জন"।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও তার আর্কাইভ দেখতে এখানে।
অন্য এক ফেসবুক পেজের তরফ থেকেও ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়, "শুভেন্দু অধিকারী ও স্বীকার করছে দেখুন। তৃণমূলের গর্জন বিরোধীদের বিসর্জন"।
পোস্টটি দেখতে ক্লিক করুন এখানে ও তার আর্কাইভ দেখতে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম যাচাই করে দেখে আসল বক্তব্যকে কাটছাঁট করে বিভ্রান্তিকর দাবিতে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের অংশটি পোস্ট করা হয়েছে।
আমরা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য শুনতে রাজ্য বিজেপির আধিকারিক ইউটিউব চ্যানেলে যাই। ওই চ্যানেলে তারকেশ্বর থেকে এবছর ৬ এপ্রিল হওয়া সরাসরি এক সম্প্রচারণে ভাইরাল ভিডিওতে থাকা শুভেন্দুর বক্তব্যের অংশ দেখতে পাওয়া যায়।
ওই সম্প্রচারের ৩৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ড অংশ থেকে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “একটা মিটিং করেছিল ব্রিগেডে - একঝুড়ি লোক নিয়ে র্যাম্প-ফ্যাম্প বানিয়ে সব এদিক-ওদিক করে। আমার তো একটা বিধানসভায় ওর থেকে বড় লোক হয় - আমি তো প্রমাণ করে দিয়েছি… তাই ওখানে বলেছিল, কী বলেছিল যে ‘তৃণমূলের গর্জন বিরোধীদের বিসর্জন’। আমি বলব আপনারা তার সঙ্গে যা বলার বলবেন…তারকেশ্বরের গর্জন…হরিপালের গর্জন…আরামবাগের গর্জন…পুরশুড়ার গর্জন…খানাকুলের গর্জন…গোঘাটের গর্জন…চন্দ্রকোণার গর্জন…তৃণমূলের বিসর্জন হচ্ছে তো? দেখছেন না কেমন পায়ে কাঁটা ফুটিয়ে দিয়েছি। প্রত্যেক মিটিংয়ে লাফাচ্ছে। মাথা আর ঠিক নেই। এই হেলিকপ্টার রানীকে, আকাশ রানীকে এবারে বাইবাই করতে হবে।"
বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু বিভিন্ন জায়গার নামের সাথে জুড়ে 'গর্জন' কথার উল্লেখ করলে উপস্থিত জনতার একাংশকে 'তৃণমূলের বিসর্জন' বলতেও সরাসরি সেই সম্প্রচারণে শোনা যায়।