সোশাল মিডিয়ায় এক ভাইরাল পোস্টে মিখ্যে দাবি করা হয়েছে যে, দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস) সোসাইটি ছাত্রছাত্রীদের কাছে অতিরিক্ত দামে ৪০০ টাকায় প্রতিটি মাস্ক বিক্রি করছে। ডিপিএস বোর্ডের সদস্য মনসুর আলি খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, উনি দাবিটি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, "এটা কোনও এক বিক্রেতার অসাধু প্রয়াস হতে পারে।" খান বুমকে আরও বলেন যে, ওই ভাইরাল বার্তাটির বিরুদ্ধে ডিপিএস পুলিশের কাছে নালিশ করেছে।
বার্তাটি এমন এক সময় ভাইরাল হয়েছে যখন জুলাই মাসে ৩০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে সব স্কুল খোলার কথা সোশাল মিডিয়ায় আালোচিত হচ্ছে। কিন্তু সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে, মানব সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ৭ জুন
ঘোষণা করেন যে, এবছরের অগস্টের পরে স্কুল কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে।
ওই ভাইরাল পোস্টে দিল্লি পাবলিক স্কুল ও ডিপিএস লেখা একটি মাস্কের ছবি দেওয়া হয়েছে। হাল্কা ঘিয়া রঙের ওই মাস্কে ডিপিএস-এর লোগোও রয়েছে। হিন্দিতে লেখা ক্যাপশনে যা বলা হয়েছে, তা এ রকম, "দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করার এই হল ডিপিএস-এর নমুনা...প্রত্যেক পড়ুয়াকে এই মাস্কটি ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। লুটপাট করার সীমা ছাড়িয়েছে এরা। সব চেয়ে ভাল এন৯৫ মাস্কের দাম খুব বেশি হলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এই প্রাইভেট স্কুলগুলি মানুষের গলা কাটছে। এই লুট বন্ধ করার ব্যাপারে কি সরকারের কোনও দায়িত্ব নেই।"
(হিন্দিতে লেখা হয়: डीपीएस ने चालू कर दिया देश सहयोग,,,₹400 में हर छात्र को यह मास्क लेना पड़ेगा सोचिए लूट की हद कर दी इन कमीने लोगों ने बढ़िया से बढ़िया n95 मास्क भी ₹100 या 150 तक मिलता है इन प्राइवेट स्कूलों को स्कूल न कह के मानवता का कसाईखाना घोषित करना चाहिए। क्या सरकार की ज़िम्मेदारी नही बनती,,,, इनके खिलाफ action लेना?)
কয়েকটি সংবাদ
প্রতিবেদন বুমের নজরে আসে যেখানে বলা হয় যে, সংশ্লিষ্ট দিল্লি পাবলিক স্কুল ওই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। বেঙ্গালুরু ও মাইসোর ডিপিএস বোর্ডের সদস্য মনসুর আলি খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, উনি দাবিটি উড়িয়ে দেন। "সরকারি নির্দেশ অুনযায়ী সব স্কুল বন্ধ আছে। এটা কোনও এক মাস্ক বিক্রেতার বজ্জাতি হতে পারে, এবং সেখান থেকে ছবিটি ভাইরাল হয়েছে," মনসুর আলি খান বুমকে বলেন।
খান আরও বলেন, "সোশাল মিডিয়ায় এই দাবিটি মিথ্যে। কারণ, আমাদের কোনও স্কুলই এই মাস্ক তৈরি করে না। অন্তত বেঙ্গালুরু আর মাইসোরের ডিপিএস-এ অভিভাবকদের উদ্দেশে সে রকম কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।" খান বুমকে এও বলেন যে, ডিপিএস-এর লোগো লাগানো যে মাস্কটি ভাইরাল পোস্টে দেখা যাচ্ছে, সেটি হয়তো কোনও এক বিক্রেতার তৈরি জাল মাস্ক। "কোনও এক মাস্ক বিক্রেতা হয়তো তার মাস্কের বিক্রি বাড়াতে এমন কাজ করেছে। ডিপিএস-এর লোগো তো ইন্টারনেট থেকে সহজেই পাওয়া যায়," বলেন খান।
ডিপিএস-এর নাম আর লোগো ব্যবহার করার জন্য ডিপিএস-এর বোর্ড, ভারথুর ও কুমারস্বামী লেআউট নামে পুলিশ স্টেশনে দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়া, বিষয়টি সম্পর্কে ডিপিএস-এর অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে সব অভিভাবককে বার্তাও পাঠানো হয়েছে, জানান খান।
হিমাচল প্রদেশের মানালিতে যে ডিপিএস স্কুল আছে, তার প্রিন্সিপ্যাল অভিন্দর বালির সঙ্গেও যোগাযোগ করে বুম। উনি বলেন, "মানালিতে আমরা কোনও স্টেশনারি সরঞ্জাম বিক্রি করি না, কারণ সরকারের নিষেধাজ্ঞা আছে। ডিপিএস আগ্রার ফেসবুক পোস্ট দেখলাম, তাঁরাও মুখের মাস্ক বিক্রি করার কথা অস্বীকার করেছেন।"
গাজিয়াবাদে ডিপিএস-রাজনগর আর আগ্রার ডিপিএস-এর সহ-সভাপতি সুনীল আগরওয়ালের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ করি। উনি বুমকে বলেন, "ডিপিএস-এর বদনাম করার উদ্দেশ্যে কেউ দুষ্কর্মটি করেছে। প্রায় ১০০ ব্রাঞ্চ এই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আমরা অভিভাবকদের অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন ভুয়ো পোস্টের শিকার না হন।"
আমরা ভোপালের কোলার রোডের বাসিন্দা সন্দীপ বাথামের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁর ছেলে কোলার রোডের ডিপিএস স্কুলে পড়ে। বাথাম বলেন যে, স্কুলের কাছ থেকে তাঁরা একটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পেয়েছেন, যেখানে ওই ধরনের সোশাল মিডিয়া পোস্ট সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। নীচে ওই মেসেজটির স্ক্রিনশট দেওয়া হল।
তবে বুমের পক্ষে ডিপিএস-এর লোগো ছাপানো মাস্কের ভাইরাল ছবিটি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।