ভাইরাল হওয়া একটি সংবাদপত্রের ক্লিপিংস-এ এই দাবি করা হয় যে, জয়পুরে কোভিড-১৯ সংক্রমিত একজন সাধুর গাঁজার কল্কে থেকে গাঁজা টেনে ৩০০ জন ওই জীবাণুর দ্বারা সংক্রমিত হয়েছেন। বুম দেখেছে দাবিটি সম্পূর্ণ ভুয়ো।
সংবাদপত্রের এই ক্লিপিংসটি ভাইরাল হওয়ার পর এবং বেশ করেকটা ওয়েবসাইটেও এটা শেয়ার করা হয়, নিউজ ঝাড়খণ্ড সংবাদ ওয়েবসাইটেও বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এখানে।
ক্লিপিংটিতে উল্লেখ করা হয়, জয়পুরে একজন সাধুর কল্কে থেকে গাঁজা টানার পর প্রায় ৩০০ জন কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিত হয়েছে। সংবাদপত্রের ওই ক্লিপিংসটির শিরোনাম ছিল: "একজন সাধুর কল্কে থেকেই ৩০০ জন করোনা পজিটিভ !জয়পুরের ট্রান্সপোর্ট নগরের ঘটনা!" (মূল হিন্দি হেডলাইন : "जयपुर में साधु की एक चिलम से हुए 300 करोना पॉजिटिव! जयपुर के ट्रांसपोर्ट नगर की घटना")। আর অপর ভাইরাল হওয়া সংবাদপত্রের ওই রিপোর্টেও এক সাধুর কাছ থেকে গাঁজা সেবন করে ৩০০ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় খবরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলা হয়েছে। (মূল হিন্দি হেডলাইন: "जयपुर में साधु की एक चिलम से हुए 300 करोना पॉजिटिव, मचा बवाल")। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
সংবাদ প্রতিবেদনের ক্লিপিং-এ দাবি করা ঘটনাটি সম্পূর্ণ ভুয়ো গুজব। বুম জয়পুর কালেক্টরেটের উপ-অধিকর্তা (জনসংযোগ) রজনীশ শর্মার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বিষয়টিকে ভুয়ো বলে উড়িয়েও দেন।
ওয়েবসাইটটির ইন্টারফেসের স্ক্রিনশটিও নীচে দেখে নিতে পারেন:
নেটিজেনরা এই খবরটি শেয়ার করতে গিয়ে রাজস্থান পত্রিকা সংবাদ-চ্যানেলের একটি সংবাদ-বুলেটিনের ক্লিপও ব্যবহার করেছেন। বুলেটিনে কিন্তু রিপোর্টার শুধু জানিয়েছিলেন যে, একজন করোনা-পজিটিভ রোগীর সংস্পর্শে আসায় ৩০০জনকে কোয়ারান্টিন করা হয়েছেl বেশ কয়েকটি টুইটে আবার ঘটনাটিতে একটা সাম্প্রদায়িক মোচড় দিয়ে গত মার্চ মাসে দিল্লির নিজামুদ্দিনে তবলিগ জামাতের সমাবেশের সঙ্গেও তুলনা টানা হয়েছেl ওই সমাবেশে উপস্থিত বেশ কয়েকজন কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হয়েছিলেন।
क्या मंदिर में ऐसी हरकत करने वाले बाबाओं पर तब्लीगी जमात की तरह होगा केस। मंदिर में चिलम पीने से 300 लोग हुए कोरोना के शिक।र । गोदी मीडिया खामोश हैं क्योंकि चापलूसी और चाटूकारिता में माहिर हैं!! 🤔 pic.twitter.com/YDkHzph6AF
— Satpal Singh (Tribal) (@satpalbhawar12) April 28, 2020
আরও পড়ুন: বিশেষ ট্রেনে যাত্রার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার অপচয়ের দাবিটি মিথ্যে
তথ্য যাচাই
বুম জয়পুর জেলা কালেক্টরেটর রজনীশ শর্মার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বললে তিনি জানান: "সংবাদপত্রের ক্লিপিংসটা একটা পুরনো গুজব যেটা কয়েক সপ্তাহ ধরে ঘুরছে। জয়পুরের মহকুমা আধিকারিক যুগান্তর শর্মা এবং মুখ্য মেডিকেল অফিসার নরোত্তম শর্মা তদন্ত চালিয়ে দেখেছেন, গাঁজার কল্কে থেকে ৩০০ জনের কোভিড-১৯-এ সংক্রমিত হওয়ার গুজবটি নিতান্তই ভুয়ো। ফলে সংবাদপত্রের প্রতিবেদনটি যে ভিত্তিহীন, সেটা আগেই প্রতিষ্ঠা করা গেছে।"
শর্মা আরও জানান যে, "একথা ঠিক যে আমরা ৩০০ জনকে সংক্রমিত সন্দেহে কোয়ারিন্টিন করেছি, কিন্তু তার সঙ্গে সাধুর গাঁজার কল্কের কোনও সম্পর্ক নেই।"
রাজস্থান পত্রিকার ঐ প্রতিবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট রিপোর্টার জয়ন্ত শর্মার সঙ্গেও বুম এ ব্যাপারে কথা বলে। তিনি জানান: "মিডিয়ার একাংশ ভুল করে সংক্রামক ব্যক্তিটিকে একজন সাধু বলে শনাক্ত করেছে l নিবারকমূলক ব্যবস্থা হিসাবে আড়াইশো-তিনশো লোককে কোয়ারান্টিন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে জনা ২২কে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টিনেও পাঠানো হয় l"
दावा: एक न्यूज़ पोर्टल "न्यूज़ झारखण्ड" ने दावा किया है की जयपुर के ट्रांसपोर्ट नगर क्षेत्र में एक साधु की चिलम के कारण 300 लोगो में कोरोना का संक्रमण फैला है #PIBFactCheck: जिला कलेक्टर,जयपुर के अनुसार प्रकाशित खबर की कोई सत्यता नहीं है व इस प्रकार की कोई घटना घटित नहीं हुई है। pic.twitter.com/J9srsw4jT7
— PIB in Rajasthan (@PIBJaipur) April 28, 2020
न्यूज़ पोर्टल "न्यूज़ झारखण्ड" ने दावा किया है की जयपुर के ट्रांसपोर्ट नगर क्षेत्र में एक साधु की चिलम के कारण 300 लोगो में कोरोना फैला है|@PIBFactCheck: जिला कलेक्टर,जयपुर के अनुसार प्रकाशित खबर की कोई सत्यता नहीं है व ऐसी कोई घटना घटित नहीं हुई है। pic.twitter.com/j2nR9DP4i1
— PIB in Jharkhand 🇮🇳 #StayHome #StaySafe (@RanchiPIB) April 28, 2020