Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

আরএসএস-এর পোশাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ছবিটি সম্পাদিত

বুম দেখে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের মুখমন্ডলকে একটি অন্তত ছ'বছরের পুরনো ছবিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।

By - Sk Badiruddin | 4 May 2020 6:36 AM GMT

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের জোড়াতালি-দেওয়া ছবিতে তাঁকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঙ্ঘের (আরএসএস) প্রধান সরসংঘচালক মোহন ভগবতের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে। এই ছবিটি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে যে, ধনকড় হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনটির ঘনিষ্ঠ, এবং সেই কারণে বিজেপি প্রভাবিত।

ছবিটিতে রাজ্যপাল ধনকড় ও মোহন ভগবতকে আরএসএস -এর পোশাকে দেখা যাচ্ছে।

বুম দেখে ধনকড়ের মুখমণ্ডলকে একটি অন্তত ছ'বছরের পুরনো ছবিতে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে মুছে দেওয়া এই ভাইরাল ছবিটাকে 'মমতা ব্যানার্জি সাপোর্টারস' নামক একটি তৃণমূলপন্থী টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করা হয়, এই টুইটার হ্যান্ডেলকে অনুসরণ করেন টিএমসি এমপি এবং মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন। ভাইরাল টুইটের ক্যাপশনে বিজেপির প্রতি ধনকড়ের আনুগত্যের অভিযোগ করা হয়। ক্যাপশনে লেখা হয়, "@জেধনকড়১, আপনি যে বিজেপি-আরএসএস-এর বিশ্বস্ত তাঁবেদার, এটি তার আরও একটি প্রমাণ। তাই আপনি সবসময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেন...(ছবি সংগৃহীত)।"
টুইটটির আর্কাইভ সংস্করণ এখানে দেখা যাবে। টুইটের স্ক্রিনশটটি দেওয়া হল নীচে।

গত সপ্তাহে, নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে পত্র মারফৎ বাদানুবাদের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। রাজ্যপাল ধনকড় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে একটি ১৩ পাতার চিঠি লেখেন। তাতে উনি কোভিড-১৯ সঙ্কট মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। পশ্চিমবঙ্গে কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সম্পর্কেও রাজ্যপাল সন্দেহ ব্যক্ত করেন। এ পর্যন্ত এ রাজ্যে ৮০০ জন কোভিগ-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন ও ৩৩ মারা গেছেন বলে জানানো হয়েছে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় রাজ্যপালের প্রত্যুত্তরে বলেন যে, একটি নির্বাচিত রাজ্য সরকারের যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করা রাজ্যপালের উচিত নয়।
তথ্য যাচাই

ভাইরাল ছবিটির রিভার্স ইমেজ সার্চ করে বুম দেখে যে, ছবিটি ফটোশপে জোড়াতালি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এবং আসল ছবিতে মোহন ভগবতের সঙ্গে ধনকড় ছিলেন না।

বুম বিবিসি-র একটি প্রতিবেদন খুজে পায়। সেটির শিরোনামে বলা হয়, "হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা তাঁদের হাফ-প্যান্ট পরিত্যাগ করছেন কেন।" প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় ৫ নভেম্বর ২০১৫। বিবিসি এর এই প্রতিবেদনে আলোচ্য এই ভাইরাল ছবির আসল ছবিকে রয়টর্সের স্বত্ব সহ ব্যবহার করা হয়। ২০১৪'য় আগ্রায় আরএসএস-এর একটি অনুষ্ঠানে সেটি তোলা হয়েছিল। 

আসল ছবিটিকে রয়টর্সের সংগ্রহশালায় খুঁজে পাওয়া যায়। রয়টর্সের সংগ্রহে থাকা মূল ছবির ক্যাপশনে বলা হয়, "১৩ নভেম্বর ২০১৪'য় উত্তর ভারতের শহর আগ্রায় হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস-এর কর্মীদের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে ভাষণ দেওয়ার পর বেরিয়ে আসছেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত।" আসল ছবিটি এখানে দেখা যাবে।


আসল ও ভুয়ো ছবি দুটি নীচে তুলনা করা হল।


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যদিও আগে একবার ধনকড়কে 'আরএসএস-এর লোক' বলে অভিযুক্ত করেছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় গত বছর, 'নিউজ ১৮'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল ওই হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনটি সম্পর্কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করে দেন। তিনি বলেন, "ওই সংগঠনের সাথে আগে যোগ না দেওয়ার জন্য অনুশোচনা হয়।"

ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমি আরএসএস-এর সদস্য নই। কিন্তু আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, এর সদস্য হতে পারলে আমি আনন্দিত হতাম। কারণ তারা (আরএসএস) জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। সেটি পৃথিবীর শ্রেষ্ট সংগঠনগুলির মধ্য একটি। এবং আরএসএস-এর সদস্য না হওয়ার জন্য আমার ভেতরে আমি একটা শূন্যতা অনুভব করি। কিন্তু এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ঠিক নয়। সেটা উচিত হয়নি।"

Related Stories