Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available

Explore

HomeNo Image is Available
AuthorsNo Image is Available
Contact UsNo Image is Available
MethodologyNo Image is Available
Correction PolicyNo Image is Available

Languages & Countries :






More about them

ফ্যাক্ট চেকNo Image is Available
বিশ্লেষণNo Image is Available
ফাস্ট চেকNo Image is Available
আইনNo Image is Available
ফ্যাক্ট চেক

না, জামিয়ায় গুলিবিদ্ধ ছাত্রের ক্ষত ভুয়ো নয়

বুম সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে খণ্ডন করে, যা দাবি করে গুলিবিদ্ধ ছাত্রটি কেচাপ-এর বোতল ব্যবহার করে রক্তপাত দেখিয়েছে।

By - Anmol Alphonso | 1 Feb 2020 3:11 PM GMT

বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাদাব ফারুকের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ছবি ভেসে উঠতে-না-উঠতেই একটি লাল প্লাস্টিককে গোল করে দেখিয়ে সোশাল মিডিয়ায় একটি ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ভাইরাল করা হয় যে, ফারুকের আহত হওয়ার ব্যাপারটা মেকি।

৩০ জানুয়ারি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জমায়েত একদল ছাত্রকে লক্ষ্য করে এক বন্দুকবাজ গুলি চালায়। ফারুকের বাঁ হাতে গুলি লাগে এবং তাকে শুক্রবার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স থেকে চিকিত্সার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বন্দুকধারী যেহেতু একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই ভারতীয় আইন অনুসারে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

ঘটনাস্থলে মোতায়েন দিল্লি পুলিশের এক বিশাল বাহিনীর সামনেই কয়েক ফুট দূরে এই দুঃসাহসী হামলার ঘটনা গোটা দেশকে স্তম্ভিত করে দেয়। কিন্তু সোশাল মিডিয়ায় অনেককেই দেখা গেছে আততায়ী ও পুলিশের প্রতি সহানুভূতি জ্ঞাপন করতে।

সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আহত শাদাবকে এক মহিলা ধরে-ধরে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ছবিতে একটি লাল প্লাস্টিককে গোল করে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বেশ কয়েকজন ছবির ক্যাপশনে এমনও সন্দেহ প্রকাশ করেছে যে, আক্রমণটি সাজানো ছিল এবং ফারুক তার আহত হওয়ার গোটা ঘটনাটাই সাজিয়েছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে
চলচ্চিত্র পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (যার ২ লক্ষ ২০ হাজার অনুগামী আছে) ভাইরাল ছবিটি টুইট করে দাবি করেছেন, ওই লাল প্লাস্টিকটি একটি কেচাপ-এর বোতল। বুম অতীতে বিবেক অগ্নিহোত্রীর অনেক ভুয়ো পোস্টের পর্দাফাঁস করেছে।
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে
এখানে
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে
টুইটটি আর্কাইভ করা আছে এখানে
তথ্য যাচাই

ফারুক গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ছবি তোলা এক আলোকচিত্রী মহম্মদ মেহেরবান-এর সঙ্গে বুম যোগাযোগ করে। আমরা সেই ফোটো বিশ্লেষণ করে দেখেছি, লাল প্লাস্টিকটি একটি জলের বোতল, কোনও কেচাপ-এর বোতল নয়।


দুটি ছবিতেই লাল বোতলটিকে ঝুলতে দেখা যাচ্ছে, বিশেষত দ্বিতীয় ছবিটিতে ফারুকের হাতে ধরা মোবাইল ফোন ও বোতল দুটোই ঝুলতে দেখা যাচ্ছে।

"আমার লাল জলের বোতল:" মিধাত সামরা, আহত ফারুকের সঙ্গে থাকা জামিয়ার ছাত্রী 

আমরা ভাইরাল হওয়া ছবিতে ফারুককে আঁকড়ে ধরে থাকা জামিয়া মিলিয়ার ছাত্রী মিধাত সারমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন: "ওটা আমার জলের বোতল।" তিনি গুলি-চালনার ঠিক আগের ঘটনাপরম্পরার বিবরণও দেন।

"একটি ছেলে দৌড়ে আসছিল হাতে পিস্তল নিয়ে। সে কিছু একটা চেঁচিয়ে বলছিল এবং তার হাতে পিস্তল দেখে অনেকেই তার দিকে ছুটে যায়। শাদাবও তখন তার দিকে ছুটে গিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টায় বলে—'পিস্তলটা নীচে করো।'

"যখন তৃতীয় বার শাদাব ওকে পিস্তল নামিয়ে রাখতে বলে, তখনই সে গুলি করে। গুলির শব্দ শুনেই আমি ফারুকের দিকে ছুটে যাই এবং তাকে নিয়ে নিকটবর্তী হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের দিকে দৌড়তে থাকি আর পুলিশকে চিত্কার করে বলতে থাকি ব্যারিকেড সরিয়ে নিতে। কিন্তু পুলিশ ব্যারিকেড সরায়নি। ফারুক যখন তার রক্তাক্ত হাতটা দেখিয়ে পুলিশকে জানায় যে সে আহত, তখন পুলিশ বলে ব্যারিকেডের উপর দিয়ে ডিঙিয়ে যাও। ফারুকও অগত্যা ব্যারিকেড ডিঙিয়েই হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের দিকে চলে যায়।"

সামরার এই বিবরণ সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ছবিতে সমর্থিত হয়েছে। সেখানে আহত শাদাব ফারুককে স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে পুলিশের ব্যারিকেড ডিঙিয়ে হাসপাতালের দিকে যেতে এবং সামারা হাতে লাল জলের বোতল নিয়ে তার পিছনে-পিছনে চলেছেন।

সামারা তার লাল জলের বোতলের একটা ছবিও বুমকে পাঠিয়েছেন, যা ভাইরাল হওয়া ছবির বোতলের সঙ্গে হুবহু এক এবং সেটা জলেরই বোতল; কেচাপ-এর নয়, যেমনটা ভাইরাল টুইটগুলিতে মিথ্যা দাবি করা হচ্ছে।


Related Stories