ভাইরাল-হওয়া একটি ছবিতে এক যুবককে জুতোর মালা পরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, স্কুলে প্রার্থনার সময়, ডঃ অম্বেদকারের কিছু উক্তি পাঠ করার জন্য তাকে হেনস্তা করা হয়। কিন্তু দাবিটি মিথ্যে।
আরও দাবি করা হয়েছে যে, পুনের ভিরভি তালুকে ঘটনাটি ঘটে। দাবিটি সমেত ছবিটি ফেসবুক আর টুইটারে ভাইরাল হয়েছে। হিন্দিতে দাবি করা হয়, "यह फोटो कोई आम फोटो नही है बल्कि एक आत्म हत्या का कारण भी है सुबह सुबह स्कूल की प्रार्थना मे #बाबा_साहेब भीम जी की दो लाइन बोलने पर मनुवादी समाज ने इस बच्चे का यह हाल किया ऐसी खबर है घटना कितनी सही है इसका अभी तक कुछ कहना जल्द बाजी होगी यदि ऐसा हुआ है तो बहुत #निन्दनीय है घटना भिवरी ता, पुरंधर जिला पुणे का है पोस्ट स्त्रोत अज्ञान।"
(এটা কোনও সাধারণ ছবি নয়। বরং এটি আত্মহত্যার ইন্ধন জুগিয়েছিল। খবর আছে যে, সকালে স্কুলের প্রার্থনা সভায় বাবা সাহেব ভীমজির কিছু উক্তি আবৃত্তি করলে, মনুবাদী সমাজ বাচ্চাটির এমনই অবস্থা করে। খবরটির সত্যতা এখনও যাচাই করা যায়নি। তবে এমনটা যদি ঘটে থাকে, তা হলে তা খুবই নিন্দনীয়। ঘটনাটি পুণের ভিরভি তালুকে ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে খবরের সূত্রটি অজানা।)
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটিতে ৭৫২ জন মন্তব্য করেন, এবং শেয়ার করা হয় ৪৩০ বার। একই দাবি সহ ছবিটি টুইটারেও ছড়িয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম দেখে ছবিটির উৎস বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল তালুকের বাসাবাইদ গ্রামে। সেখানে ২০১৭ সালে এক স্কুল ছাত্রীকে ক্রমাগত উত্যক্ত করার জন্য ওই ছেলেটিকে শাস্তি দেওয়া হয়।
এপ্রিল ২০১৭'য় ঘটনাটি ঘটে। সেখানকার সাগরদীঘি কলেজের ১২ ক্লাসের ছাত্রটি ওই স্কুলের এক ছাত্রীকে প্রয়শই উত্যক্ত করত। বুম দেখে সে দেশের 'কালেরকন্ঠ' আর 'দৈনিক আমার সংবাদ' নামের দু'টো কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনার আগে, ছেলেটি ওই ছাত্রীর হাত ধরে টেনে ছিল। গ্রামের লোকেরা তাকে ধরতে গেলে সে বাইক চেপে পালিয়ে যায়।কাগজে প্রকাশিত রিপোর্টে আরও বলা হয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানান যে, যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে তারা একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
রিপোর্ট দু'টির কোনওটাতেই এ কথা বলা হয়নি যে ছেলেটি পরে আত্মহত্যা করে।