ভোটের বিজ্ঞাপনে আরও স্বচ্ছতা আনতে ভারতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের জন্য কে টাকা দেয় এবং এই জন্য কত টাকা খরচ হয়, সেকথা শিগগিরিই জানাবে গুগুল। গুগুল ইন্ডিয়ার পাবলিক পলিসির ডিরেক্টর, চেতন কৃষ্ণস্বামী মঙ্গলবার একটি ব্লগ পোস্টে বলেছেন, এই সংস্থা ভারত-নির্দিষ্ট একটি ‘পোলিটিক্যাল অ্যাডভারটাইজিং ট্রান্সপেরেন্সি রিপোর্ট’ বা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনী স্বচ্ছতা রিপোর্ট এবং সার্চযোগ্য ‘পোলিটিক্যাল অ্যাডস লাইব্রেরি’ বা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনী লাইব্রেরি চালু করবে।
আরও বলা হয়েছে যে, আশা করা হচ্ছে মার্চ ২০১৯ থেকেই এটা লাইভ হয়ে যাবে। এখন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই গুগুল এই স্বচ্ছতা রিপোর্ট ও রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনী লাইব্রেরি প্রকাশ্যে আনে। এই বড় সার্চ ইঞ্জিনটি ভারতের জন্য নির্বাচনী বিজ্ঞাপন নীতি টি আপডেট করেছে। যা জনসাধারণকে তথ্য জোগাতে পারবে।
ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ থেকে ভারতের ইলেকশন কমিশন (ইসিআই) বা এই কমিশন দ্বারা অনুমোদিত কোনও সংস্থাকে প্রতিটি নির্বাচনী বিজ্ঞাপনের জন্য বিজ্ঞাপনদাতাদের একটি প্রি-সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হবে। তারপর সেটি গুগুলকেও দেওয়া হবে। এবং বিজ্ঞাপনদাতাদের পরিচিতি সঠিক কিনা তা যাচাই করে নেবে গুগুল। বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ফেসবুকে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনগুলিকে নিপুনভাবে কাজে লাগানো হয়েছিল। এবং সেটা করা হয়েছিল ফেসবুক ব্যবহারকারিদের ডেটা কাজে লাগিয়ে। যেগুলি অবৈধভাবে যোগাড় করেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে একটি ব্রিটিশ পলিটিকাল কনসালটিং ফার্ম। ওই কেমব্রিজ অ্যানলিটিকা–ফেসবুক স্ক্যান্ডাল-এর পরেই অনলাইনে, বিশেষত গুগুল ও ফেসবুকে ব্যবহৃত রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের স্বচ্ছতার বিষয়টি তদন্তের আওতায় আসে।
রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার ব্যাপারে গুগুল ফেসবুকের উদ্যোগকেই অনুসরণ করছে। ফেসবুক ইঙ্ক ডিসেম্বরে, ২০১৮ তে বলে, তাদের প্ল্যাটফরমে যাঁরা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন দিতে চান, তাঁদের “নিজেদের পরিচিতি এবং লোকেশন স্পষ্টভাবে জানাতে হবে, যাতে এই ব্যবস্থাটির অপব্যবহার না হয় কোনওভাবে”।