একটি ভাইরাল পোস্ট দাবি করেছে যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিন বলেছে. “ভারতের বিরোধী নেতারা যদি মাসুদ আজহারকে সন্ত্রাসবাদী বলে মনে না করেন, তাহলে আমরা কেন তাকে এক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করব?” দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যে।
তিনটি ছবির কোলাজ সমেত পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে। তিনটি ছবির একটিতে রয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং (বাঁ দিকে), মাসুদ আজহার (ডান দিকে) আর হাত ধরাধরি করে বিরোধী নেতারা দাঁড়িয়ে(নীচে)। সঙ্গে হিন্দিতে লেখা, “चीन ने UN में तर्क दिया कि अगर भारत का विपक्ष ही मसुद को आतंकी नहीं मानता तो हम कैसे मानें…”
যার বাংলা করলে দাঁড়ায়: “চিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে যুক্তি দেখিয়েছে যে, ভারতের বিরোধী পক্ষই যদি মাসুদকে সন্ত্রাসবাদী মনে না করে, তাহলে আমরা কী করে তা বলি?”
পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন, আর আরকাইভ সংস্করণ দেখতে এখানে ।
‘দেশহিত কী বাত’ (‘देशहित की बात’ ) নামের এক ফেসবুক পেজ পোস্টটি শেয়ার করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় সেটি প্রায় হাজার বার শেয়ার হয়েছিল, আর ৫০০’রও বেশি প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল।
ঘটনাটি সত্য কি না জানতে চেয়ে, ছবিটি বুম’র হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর ৭৭০০৯০৬১১-এও পাঠানো হয়।
তথ্য যাচাই
মাসুদ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার যে প্রস্তাব রাষ্ট্রসঙ্ঘে আনা হয়েছিল, চিন তা মার্চ ১৩, ২০১৯ তারিখে আটকে দেয়। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন)।
ফেব্রুয়ারি ২৭’এ প্রস্তাবটি এনেছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেটি পেশ করা হয় রাষ্ট্রস্ঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ আল কাইদা সাব কমিটির অধীনে। (আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন)।
বুম মার্চ ১৪, ২০১৯, এই বিষয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাঙে’র বক্তব্য খুঁটিয়ে দেখে। তাতে কোথাও ভারতের বিরোধী পক্ষের উল্লেখ ছিল না।
মাসুদ আজহারকে একজন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করার প্রস্তাব আটকানোর পক্ষে যুক্তি দিতে গিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাঙ বলেন: “আমাদের আরও সময় চাই। তাই টেকনিক্যাল কারণে আমরা ওটি আটকাচ্ছি। এবং ১২৬৭ কমিটির নিয়মের সঙ্গে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ।”
পুরো বক্তব্যটি এখানে পড়ুন।