শ্রীনগরে উত্তেজিত জনতার দ্বারা একটি ইভিএম ভেঙ্গে ফেলার ঘটনার দু বছরের পুরনো ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করা হচ্ছে এই বলে যে, সেটি ইউপির সাম্প্রতিক এক ঘটনার দৃশ্য।
ভিডিওটিতে রয়েছে ইভিএম ভাঙ্গার দুটি অস্পষ্ট ছবি। ভিডিওটি এক মিথ্যে দাবি সমেত ভাইরাল হয়েছে। বলা হয়েছে, ইভিএমটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল এবং নিজে থেকেই ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপির) পক্ষে ভোট রেকর্ড করছিল।
ভারতে সাধারণ নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট শুরু হয় এপ্রিল ১১, ২০১৯। তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্তিকর ওই বার্তা সমেত ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
পোস্টের বাংলায় লেখা মেসেজে বলা হয়: “ইউপিতে আজকে যে বোতামই টেপা হোক না কেন, ভোট পড়ছে বিজেপির পক্ষে। লোকেরাই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে।” ‘লোকেরাই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে’ বলতে বোঝানো হয়েছে জনতা এবার নিজের হাতে আইন তুলে নেবে।
পোস্টটি নীচে দেওয়া হল। তার আরকাইভ সংস্করণ দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
তথ্য যাচাই
বুম ইনভিড-এর সাহায্যে ভিডিওটিকে ফ্রেমে-ফ্রেমে ভাগ করে। এবং বিশ্লেষণ করে কয়েকটি মূল ফ্রেম। রিভার্স সার্চ করে ছবিটির কোনও নির্ভরযোগ্য সূত্র পাওয়া যায় না। দেখা যায়, একই ছবি দুটি ভিন্ন ইউআরএল-এ পাওয়া যাচ্ছে ইউটিউবে। এবং সেগুলি আপলোড করা হয়েছিল এপ্রিল ১১, ২০১৯ তারিখে।
বক্তৃতার বিশ্লেষণ আর লোকজনের পরনে কাশ্মীরি কাফ্তান ইঙ্গিত করে যে ভিডিওটি সম্ভবত জম্মু ও কাশ্মীরে তোলা।
এর পর আমরা আরও উন্নত উপায়ে সার্চ করি। এবার এপ্রিল ২০১৭’র এনডিটিভির এক সংবাদ বুলেটিনের সন্ধান পাওয়া যায়। তাতে জম্মু ও কাশ্মীরে এক উপনির্বাচনে কী ভাবে উত্তেজিত জনতা একটি ইভিএম ভেঙ্গে দেয়, তার বর্ণনা করা হয়।
বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ওই নির্বাচন বয়কট করার ডাক দিলে, উত্তেজিত জনতা পোলিং বুথের ওপর চড়াও হয়। অন্তত পক্ষে ২০০ হিংসার ঘটনায়, আট ব্যক্তি মারা যান। প্রায় ১০০ জন সুরক্ষা বাহিনীর সদস্য জখম হন, এবং ৩৩ ইভিএম ভাঙ্গা হয়। ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন।