‘পশ্চিমবঙ্গ মুস্লিম বুদ্ধিজীবী মহল’-এর ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে দাবি করা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাকি বলেছেন, কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ংকা গান্ধী উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চলের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর তিনি আর বারাণসী লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না ।
পোস্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নরেন্দ্র মোদী নাকি প্রিয়ংকা গান্ধীকে ভয় পাচ্ছেন, যিনি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন । বেঙ্গল রিপোর্ট নামে একটি ওয়েবসাইট প্রবন্ধটি প্রকাশ করেছে । তাতে বিজেপির সভাপতি অমিত শাহকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, মোদী এবার আর বারাণসী থেকে ভোটে দাঁড়াবেন না, তার পরিবর্তে তিনি পশ্চিমবঙ্গ কিংবা ওড়িশার কোনও আসন থেকে লড়বেন ।
ফেসবুক পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন ।
বেঙ্গল রিপোর্টে প্রকাশিত প্রবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন ।
বুম বিজেপির বরিষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কে কোন আসন থেকে দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেটা এখনও পর্যন্ত স্থির করা হয়নি ।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, “কোন নেতা কোন কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়বেন, সেটা এখনও অবধি ঠিক হয়নি । আমি এই প্রবন্ধটা দেখেছি, এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ।আমি বিজেপির তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগকে বলব, সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী লেখার উপর নজর রাখতে ।”
বিজেপির মুখপাত্র সৈয়দ শাহনওয়াজ হুসেন বললেন, “আমরা ফেসবুক পেজে এই পোস্টটি দেখেছি । এখনও পর্যন্ত দলীয় সভাপতি আসন্ন নির্বাচনে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেননি । বারাণসী থেকে তিনি আর লড়বেন না, এমন কোনও বার্তা এমনকী আমরাও এখনও পাইনি । সোশাল মিডিয়ায় এই মর্মে যে লেখাটি প্রচারিত হয়ে চলেছে, সেটি ভুল পথে পাঠককে চালিত করবে । আমাদের এ ধরনের লেখাপত্র নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ।”
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রিয়ংকা গান্ধী ভদ্র রাজ্যের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বেশ কিছু বৈঠক করেছেন । দল কী ভাবে চলছে, তা জানতে বুথ কমিটির লোকজনদের সঙ্গেও কথা বলছেন । তিনি এমনকী এও দাবি করেছেন যে, তিনি দলীয় কর্মীদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছেন, জানছেন কী ভাবে দল কাজ করে এবং কী উপায়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে দলকে শক্তিশালী করা যায় ।