২০১৭ সালের একটি ভিডিওতে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ‘বুম-বুম আফ্রিদি’ বলে আওয়াজ দেওয়ার একটি ছবিকে সাম্প্রতিক ঘটনার ছবি বলে প্রচার করছে ক্যাচ-নিউজ ও জি-২৪ ঘন্টার মতো কিছু অনলাইন সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তানের নেটিজেনরাই গণমাধ্যমে ভিডিওটি জিইয়ে তুলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নিতে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করার পূর্বাহ্নে উপত্যকা জুড়ে সব কিছু বন্ধ করে দেবার পর l ঘটনাচক্রে ওই একই সময়ে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়কও কাশ্মীরেই সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘোরাঘুরি করছিলেন।
ধোনিকে জম্মু-কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়েছে ভিক্টর ফোর্সের অঙ্গ হিসাবে এবং একজন সাম্মানিক লেফটেনান্ট কর্নেলের ভূমিকায়। তাঁর কাজ হল, ৩১ জুলাই থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত ভারতীয় বাহিনীর প্যারা রেজিমেন্টের অংশ হিসাবে টহলদারি, প্রহরা ও অন্যান্য কর্তব্য পালন করা ।
প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এখানে। আর্কািইভ করা আছে এখানে।
ক্যাচ-নিউজ ২০১৯-এর ৮ অগস্ট একটি প্রতিবেদন ছেপে দাবি করে যে, ক্রিকেট তারকা ধোনি কাশ্মীরের বারামুল্লা এলাকায় এভাবে স্থানীয়দের দ্বারা বিদ্রূপে বিদ্ধ হন, আর তা প্রতিষ্ঠা করতে একটি ভাইরাল ভিডিওর সংযোগও তারা সঙ্গে জুড়ে দেয়।
১৯ সেকেন্ডের ওই ক্লিপটি পাকিস্তানের একটি সংবাদ-চ্যানেলের, যাতে ক্রমাগত পাক ক্রিকেটার আফ্রিদির নামে লোকেরা জয়ধ্বনি দিয়ে চলেছে।
জি-নিউজ-এর বাংলা ওয়েবসাইট জি-২৪ ঘন্টাও ওই ভুয়ো খবরটিই টুইট করে প্রচার করেছে।
প্রতিবেদনটি দেখা যাবে এখানে। প্রতিবেদনটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
বুম ধোনি এবং বুম-বুম আফ্রিদি শব্দগুলি বসিয়ে অনুসন্ধান করে ইউ-টিউবে আদি ভিডিওটি খুঁজে পায়। ৫৭ সেকেন্ড স্থায়ী ভিডিওটি ১৭ নভেম্বর ২০১৭ পাকিস্তানের আরি স্পোর্টস নামে একটি সংবাদ-চ্যানেল আপলোড করে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলির মধ্যে কেবল হিন্দুস্তান টাইমস ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর রিপোর্ট করে যে, সেনাবাহিনীর স্পন্সর করা একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত হয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনি কাশ্মীরে এলে জনতা তাঁকে ওই বিদ্রূপাত্মক স্লোগানে বিদ্ধ করে।
প্রতিবেদনে লেখা হয়, “ঘটনাস্থলে মোতায়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা বিব্রত ধোনির কাছ থেকে জনতাকে ঠেলে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু জনতা পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের নামে জিন্দাবাদ দিয়ে ধোনিকে অপদস্থ করতেই থাকে।”
নীচে ২০১৭ সালের সেই ভিডিওটি দেখুন।