একটি ফেসবুক পোস্টে এক মহিলার মাথা কামিয়ে দেওয়ার তিনটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাফাই গেয়ে ভারত বিরোধী পোস্ট করায় ওই দশা হয়েছে তাঁর। অভিযোগটি মিথ্যে।
ওই সম্পর্কহীন ছবিগুলি তোলা হয় মধ্যপ্রদেশের ভোপালে শিক্ষকদের এক বিক্ষোভ চলাকালে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৮'র জুলাই মাসে।
ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৯ তারিখে ছবিগুলি পোস্ট করা হয় পেজ@হিন্দুত্ববাদী-তে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি ৪,০০০ বার শেয়ার করা হয়।
বাংলায় লেখা পোস্টটিতে বলা হয়েছে, "পাকিস্তান জিন্দাবাদ আর ভারত তার পায়ের নীচে - এইরকম অসংখ্য পোস্ট করেছিল ওই মেয়েটি। হিন্দুত্ববাদীরা হত্যা করেনি, কারণ সে ভারতীয় কিন্তু দেশদ্রোহী অপরাধ করার সাজা হিসাবে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হলো।"
আরকাইভে রাখা পোস্টটি দেখতে, এখানে ক্লিক করুন।
এটি অন্য অনেক পেজ শেয়ার করে।
তথ্য যাচাই
ছবিগুলি পুরনো। পুলওয়ামার জঙ্গি হানা বা তার পরের কোনও প্রতিবাদ বিক্ষোভের সঙ্গে সেগুলির কোনও সম্পর্ক নেই। রিভার্স ইমেজ সার্চ করে, বুম আসল ভিডিওটির সন্ধান পায়।
ঘটনাটি ঘটে জুলাই ২৬, ২০১৮'য়। 'নিউজ ১৮' মধ্যপ্রদেশ সেটি রিপোর্ট করে। সেই ভিডিও রিপোর্টটি, যার থেকে ছবিগুলি নেওয়া হয়েছে, সেটি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
'নিউজ ১৮ হিন্দি' জানায় যে, মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে চুক্তিতে নিযুক্ত শিক্ষকরা পাকা চাকরির দাবিতে বিক্ষোভের সময় প্রতিবাদের চিহ্ন হিসেবে নিজেদের মাথা ন্যাড়া করে ফেলেন।
ওই চুক্তি-নির্ভর শিক্ষকরা অনেক দিন ধরেই দাবি করছিলেন যে তাঁদের শিক্ষা দপ্তরের আওতায় এনে সরকারি চাকুরেদের পাওনা সুবিধেগুলি দেওয়া হোক।
জানুয়ারি ২০১৮'য় একই ধরনের একটি বিক্ষোভ সংঘঠিত হয়। তাতে কয়েকজন শিক্ষিকা, প্রতিবাদ জানাতে নিজেদের মাথার চুল কামিয়ে ফেলেন। আরও জানতে, এখানে ক্লিক করুন।
নিউজ ১৮-এর রিপোর্টে বলা হয় যে, শিক্ষকরা দাবি করেন যে, প্রতিবারই তাঁরা সরকারের কাছ থেকে শুধু আশ্বাসই পেয়ে এসেছেন, কিন্তু এবার তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর এবং বৃষ্টির মধ্যেই ভোপালের শাহাজাহানি পার্কে অবস্থান করে থাকবেন।