টুইটার ব্যবহারকারী গৌরব প্রধান অভিযোগ করেছেন, ছাত্র-রাজনীতির কর্মী গুরমেহের কৌর পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কথা বলতে এবং কী ভাবে এ ধরনের হামলা ভারতে সংখ্যালঘুদের আহত করে, সেটা বোঝাতে । টুইটারে প্রধানের অনুগামীদের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬০ হাজার এবং তাঁর এই টুইটও পত্রপাঠ ১৩০০ জন পুনরায় টুইট করেছেন ।
টুইটে প্রধান বিবিসি-র উর্দু চ্যানেলে গুরমেহরের একটি সাক্ষাৎকারের অংশও তুলে দিয়েছেন এবং অভিযোগ করেছেন, কৌরকে আর্থিক সহায়তা জোগায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ও তার নেত্রী প্রিয়ংকা গান্ধী (যিনি তাঁর আদর্শও বটেন) । সবশেষে তার প্রশ্ন—গুরমেহের কেন পাকিস্তানে গিয়েছিলেন?
ভিডিওতে গুরমেহেরকে বলতে শোনা গেছে—“এ ধরনের জঙ্গি হামলা ভারতের সংখ্যালঘুদেরই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে । তাঁর আরও বক্তব্য—নির্বাচন এলেই রাজনীতিকরা মেরুকরণের খেলায় মাতেন, তাই নাগরিকদের উচিত তাদের কথায় কান না দেওয়া ।”
টুইটের আর্কাইভ লিংকটি এখানে দেখুন ।
তথ্য যাচাই
গুরমেহের বর্তমানে ব্রিটেনে রয়েছেন । গৌরব প্রধানকে তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, তিনি কখনও পাকিস্তানে যাননি-
বুম গুরমেহেরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানানঃ “এ সব পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু নয় । আমি তো এখন লন্ডনে এবং বিবিসির সঙ্গে আমার সাক্ষাৎকার ঘটে তাদের সদর দফতরের স্টুডিওতে ১৫ ফেব্রুয়ারি ।” তিনি আরও স্পষ্ট করেনঃ “আমি কোনও দিন কখনও পাকিস্তানে যাইনি । এই লোকটা যে কী বলছে, সে সম্পর্কে আমার কোনও ধারণাই নেই ।”
পুরো সাক্ষাত্কারটি এখানে দেখুনঃ
গুরমেহের কৌর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও কিংস কলেজে বক্তৃতা দিতে এখন ব্রিটেনে গিয়েছেন । যবে থেকে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন, তবে থেকেই তাঁকে তীব্র বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয়েছে । তাঁর বাবা ক্যাপ্টেন মঞ্জিত সিং জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রাণ হারানোর পর তিনি বলেছিলেন—“পাকিস্তান আমার বাবাকে হত্যা করেনি, দু দেশের যুদ্ধ আমার বাবার প্রাণ নিয়েছে ।”
আর গৌরব প্রধান যে এই প্রথম সোশাল মিডিয়ায় সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়ালেন, এমনও নয় । বুম অতীতে বহু বার টুইটারে তাঁর ভুয়ো খবর মারফত ছড়ানো সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের পর্দা ফাঁস করেছে, যার নমুনা এখানে , এখানে এবং এখানে দেখতে পারেন ।