প্রায় এক বছরের পুরনো একটি ভিডিয়ো। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড ইভেন্টে ভারতীয় হেপ্ট্যাথলিট স্বপ্না বর্মণের ভাল পারফর্ম্যান্সের পর তাঁর মা আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। সেই ভিডিয়োটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা হচ্ছে। সঙ্গে ক্যাপশন, ‘যখন হিমা দাস সোনা জিতলেন।’
(মূল হিন্দিতে ক্যাপশন: हिमा दास ने जब जीता गोल्ड )
৯০ সেকেন্ড লম্বা ভিডিওটিতে কয়েক জন লোককে হাত জোড় করে টেলিভিশন সেটের সামনে অপেক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে।
ক্যামেরা এক বার টেলিভিশন সেটের দিকে ঘোরে এবং ফের তার সামনে অপেক্ষারত লোকেদের দেখায়। এ রকম বেশ কয়েক বার দেখানোর পর দেখা যায়, ঘরে উপস্থিত এক মহিলা কান্না সামলাতে পারছেন না। তিনি ঠাকুর ঘরে দিয়ে গৃহদেবতার সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করেন।
ভিডিয়োটিও এখানেই শেষ হয়। স্ক্রিনে ফুটে ওঠে অ্যাথলিট হিমা দাসের ছবি। ভিডিওটি ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে এবং পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
জুলাইয়ের গোড়ায় অসমের ১৯ বছরবয়সী অ্যাথলিট হিমা দাস পোল্যান্ড ও চেক রিপাবলিকে বিভিন্ন ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড মিটে পাঁচটি সোনা জেতেন। তারপর থেকে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে।
তথ্য যাচাই
বুম ‘হিমা দাস ফ্যামিলি’ কিওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউবে সার্চ করে দেখতে পায় যে এই একই ভিডিও ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল।
এই ভিডিওটিতে করা একটি কমেন্টে এই পরিবারটিকে স্বপ্না বর্মণের পরিবার বলে উল্লেখ করা হয়। এই উত্তর দেখে আমরা ‘স্বপ্না বর্মনস ফ্যামিলি’ কিওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করি।
বুম দেখতে পায় এই একই ভিডিও২০১৮ সালের ৩০শে অগস্ট হিন্দুস্তান টাইমস আপলোড করেছিল।
২০১৮ সালের ২৯ অগস্ট স্বপ্না বর্মণ জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে প্রথম ভারতীয় হেপ্টাথেলিট হিসাবে সোনা জয় করেন। পর দিন হিন্দুস্তান টাইমস ভিডিওটি আপলোড করে।
স্বপ্না বর্মনের এশিয়ান গেমসে সোনা জয় সম্বন্ধে আরও জানতে এখানে ক্লিক করুন।
কেউ যদি মনোযোগ দিয়ে ভিডিওটি শোনেন, তাহলে ভিডিওটির ৩০ সেকেন্ডের মাথায় পরিষ্কার শুনতে পাবেন যে ধারাভাষ্যকার বলছেন, “বর্মন সোনা জিতলেন।” এটা থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় যে হিমা দাস নয় বরং স্বপ্না বর্মণ এই ইভেন্টটিতে অংশ নিয়েছিলেন।