দুজন মহিলার ধূমপান আর মদ্যপানের ছবি ফিরে এসেছে আর সঙ্গে মিথ্যে দাবি করা হয়েছে যে ওই দুই মহিলা হলেন খ্যাতনামা সাংবাদিক বরখা দত্ত আর সাগরিকা ঘোষ। আরও বলা হয়েছে যে তাদের ওই আচরণ ভারতীয় ঐতিহ্য বিরোধী। একটি ফেসবুক পোস্টের ছবিতে যে দুই মহিলাকে মদের গ্লাস আর সিগারেট হাতে দেখা যাচ্ছে, তাদের নৈতিকতা যাচাই করার আবেদনও জানানো হয়েছে।
ওই দুই মহিলাকে এনডিটিভির সাংবাদিক বরখা দত্ত আর ভুল করে ‘সঙ্গিতা ঘোষ’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবং অভিযোগ করা হয়েছে যে তাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে আঘাত করেছেন। এরপর পোস্টটিতে দাবি করা হয় যে, ওই দুই মহিলা, যাঁরা সবসময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আরএসএস-এর সমালোচনা করেন, সকলের সামনে তাঁদের স্বরূপ বেরিয়ে পড়েছে।
ছবিটির ক্যাপশানে বলা হয়েছে, “#এই দুই মহিলা কে হয়তো আপনারা চিনতে পারেন।
কংগ্রেস পার্টির সমর্থক #NDTV পত্রকার বরখা দত্ত আর সংগীতা ঘোষ।এনারা মোদী জি আর (আরএসএস) গালি গালি দিতে দিতে রিকার্ড বানিয়েছে। এদের নিয়ে আপনাদের কি বিচার একটু ব্যাখ্যা করুন। এদের আসল চেহারা দেশব্যাপী সব জনতা কে দেখানোর জন্য অবশ্যই একটা শেয়ার করবেন। নারীনামেরকলঙ্ক”
ফেসবুক পোস্টটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন, আর তার আরকাইভ সংস্করণ দেখতে এখানে ।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ‘বরখা দত্ত ড্রিংকিং’ শব্দগুলি দিয়ে সার্চ করলে প্রথমেই এই ছবিটি উঠে আসে, আর রিভার্স সার্চ করলে সেটিকে ত্রুপ্তি দেশাইর ছবি বলে চিহ্নিত করা হয়।
তথ্য যাচাই
বুম ছবিটির রিভার্স সার্চ করে দেখে যে, সেটি আগেও বরখা দত্ত আর তাঁর প্রাক্তন সহকর্মী সাগরিকা ঘোষের ‘আসল চরিত্র’ দেখিয়ে দেয় বলে অনেক বার ব্যবহার হয়েছে। আগে এক টুইটে বরখা দত্ত স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন যে, ছবিটি তাঁর নয় এবং তাঁকে সমালোচনা করার ভিত্তিটি সম্পর্কেই প্রশ্ন তোলেন। টুইটটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
এছাড়াও বুম দেখে যে, শাবরিমালা ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য ছবিটি ত্রুপ্তি দেশাই-এর বলেও চালানো হয়। এখানে দেখেনিন একটি প্রতিবেদন।
তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে বুম ত্রুপ্তি দেশাই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তাঁর স্বামী প্রশান্ত দেশাই জানান ছবিটি ত্রুপ্তি দেশাইয়ের নয়।
ছবিতে ওই দুই মহিলার আসল পরিচয়টি বুম খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। কিন্তু তারা যোগাযোগ না করা পর্যন্ত বুম তাদের পরিচয় গোপন রাখবে।