একজন সোশ্যল মিডিয়া ব্যবহারকারী তার ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি ছবি শেয়ার করে দাবি করেছেন ছবিগুলি বিহারের। সেখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ছবি সেগুলি। তিনি এব্যাপারে উষ্মা প্রকাশ করেছেন।
প্রথম ছবিতে সাদা জামা লুঙ্গি পরিহিত ব্যক্তিকে উরু ও বুক-হাতে দড়ি বাঁধা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয় ছবিটিতে একজন সালোয়ার কামিজ পরিহিত মহিলাকে একজন পুলিশ কর্মী রড দিয়ে মারতে যাচ্ছেন। কিছু মহিলা দৌড়ে পালাচ্ছেন। তৃতীয় ছবিটিতে আর একজন সালোয়ার কামিজ পরিহিত মহিলা পুলিশের লাঠি ধরে রুখছেন। পত্যেকের মাথা ওড়না ঢাকা। চতুর্থ ছবিতে এক যুবকের গালের এক পাশ ও বুক রক্ত মাখা। একজন যুবক তার কলার ধরে আছে। অন্য আর একজন যুবক বেল্ট জাতীয় কিছু দিয়ে তাকে মারছে।
পোস্টটিতে ক্যাপশন লেখা হয়েছে, “ভারতের বিহারও রাম রাজ্য হতে চলছে! চলছে মুসলিম নির্যাতন। চলছে মুসলিম নির্যাতন! কোথায় এখন সেই মুসলমানেরা যারা সম্পৃতির ডাক দিয়ে অসাম্প্রদায়িক হতে চায়? অসাম্প্রদায়িক মুসলমানের কারনেই আজ সাধারন মুসলমানেরা হিন্দুদের হাতে মার খাচ্ছে। জীবন দিচ্ছে সাথে দিচ্ছে ইজ্জত। তার পরেও তারা হিন্দুদের সাথে মিলে মিশে থাকতে চায়। এ সমস্ত মুসলমানেরা মুসলমান নয় এরা কর্নভাটেড হিন্দু। মানে এক সময় মুসলমানের ঘরে জন্মগ্রহন করে মুসলমানদের মত চলা ফেরা করে কিন্তু সবসময় হিন্দুদের পক্ষে গোলামি করে। মুসলমান কোনওদিন অসাম্প্রদায়িক হতে পারে না। যারা অসাম্প্রদায়িক তারা মুসলমান হতে পারে না! ”
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ২৮৬ জন লাইক ও ৫২২ জন শেয়ার করেছে পোস্টটি।
পোস্টটি এখানে দেখা যাবে। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
তথ্য যাচাই
প্রথম ছবি: ঔজ্বল্য কম হওয়ায় রিভার্স সার্চ করে প্রথম ছবিটি বুমের পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
দ্বিতীয় ছবি: সালোয়ার কামিজ পরিহিত মহিলাকে একজন পুলিশ কর্মী রড দিয়ে মারতে যাওয়ার ছবিটি কাশ্মীরের। ছবিটি যে ট্যুইটার অ্যাকাইন্টে আপলোড করা হয়েছিল সেটি ভরত সরকারের তরেফে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ছবিটি যচাইয়ের কোনও সংবাদ লিঙ্ক বুম খুঁজে পায়নি। যদিও এই ওয়েবপেজ-এ দেখা যাবে। নিচে গুগল রিভার্স সার্চের ফলাফল দেওয়া হল।
তৃতীয় ছবি: পুলিশের লাঠি ধরে রুখতে যাওয়া সালোয়ার কামিজ পরিহিত মহিলার, এই ছবিটিও কাশ্মীরের। ২০১০ সালের ছবি এটি।
চতুর্থ ছবি: রক্তমাখা যুবককে বেল্ট জাতীয় কিছু দিয়ে মারার ছবিটি উত্তর প্রদেশের। ২০১৫ সালের ঘটনা এটি। মুজ্জফরনগরে এক মুসলিম ব্যক্তিকে বাজরং দলের কর্মীরা মারধোর করে।
সম্প্রতি, গোমাংস বহনের অজুহাতে মধ্যপ্রদেশে গোরক্ষকদের আক্রমনের শিকার হয়েছেন তিন ব্যক্তি। ওই ঘটনা নিয়ে বুমের প্রতিবেদনটি পড়া যাবে এখানে।