সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুদের ঘর ফাঁকা করে দিচ্ছেন। ভিডিওটিতে কয়েকজন মহিলাকে কাঁদতে কাঁদতে হিংসার ঘটনা বর্ণনা করতে দেখে যাচ্ছে। পুলিশের ভূমিকারও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।
হিন্দিতে লেখা মূল পোস্টটি: "बंगाल कि मुख्यमंत्री ममता बनर्जी बंगाल में हिंदुओ का घर खाली करवा रही है वो इस वीडियो में जरा दोखिये " (বাংলার প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যে বাংলাতে হিন্দুদের ঘর খালি করিয়ে দিচ্ছে, সেটি এই ভিডিওতে দেখুন।)
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত পোস্টটি ১৫০০০ জনের বেশি লাইক করেছেন। পোস্টটি নীচে দেওয়া হল। পোস্টটি আর্কাইভ করা আছে এখানে।
বুম তার হোয়াটসঅ্যাপ হেল্পলাইন নম্বর (৭৭০০৯০৬১১১)-এ একজন পাঠকের থেকেও ওই ভিডিওটি পেয়েছে।
তথ্য যাচাই
বুম ইউটিউবে ‘ভোয়োলেন্স ইন বেঙ্গল’ নামে কি ওয়ার্ড সার্চ করেছিল। সাবলীল হিন্দতে কথা বলার সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দি বলয় আসানসোলের হিংসার ঘটনার প্রতিবেদন হিসাবে অনুমান করা হয়েছিল। “গ্রাউন্ড রিপোর্ট: ওয়েস্ট বেঙ্গল আসানসোল কমিউনাল ভোয়োলেন্স (বিবিসি হিন্দি)” শিরোনামে একটি ইউটিউব ভিডিও খুজে পায়। ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল ‘বিবিসি নিউজ হিন্দির’ ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিওটি আপলোড করা হয়েছিল।
২০১৮ সালের ২৬ মার্চ রাম নবমীর শোভাযাত্রা ঘিরে আসানসোলের রাণীগঞ্জ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি রূপ নেয় সাম্প্রদায়িক হিংসার। পুলিশ-প্রশাসনের কর্তব্যে গফিলতি ও তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে। এব্যপারে প্রকাশিত বিস্তারিত স্ক্রোলের প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বগাখালি এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার সারাই নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার তুমুল বচসা বাঁধে। অচিরেই দুই গোষ্ঠীর কোন্দল সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের রূপ নেয় এবং সশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পর্কে প্রচুর পোস্ট এবং ভিডিও প্রকাশিত হয়। তাতে দাবি করা হয় যে সাম্প্রদায়িক চাপানউতোরের ফলে প্রচুর হিন্দু ব্যাক্তিকে ঘর ছাড়া হতে হচ্ছে। এব্যাপারে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন পড়া যাবে এখানে।