একটি মুসলমানি টুপি পরে রাহুল গান্ধী এক সুফি সন্তের দরগায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন —এ ধরনের একটি ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যার বিবরণীতে ঘটনাটির পুরোপুরি সাম্প্রদায়িক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে । বুম-এর হেল্পলাইন নম্বরে (৭৭০০৯০৬১১১) পাঠানো একটি ভিডিওতে হিন্দিতে একটি বয়ান রয়েছে, যাতে পাঁচ রাজ্যের সদ্য-সমাপ্ত নির্বাচনে কোনও প্রার্থীকেই ভোট না-দেওয়া ভোটারদের নিন্দা করা হয়েছে ।
হিন্দি বয়ানটিতে লেখা— “দেখে নাও । এখনও যদি চোখ না খুলে থাকে, তবে আর কখনও খুলবে না । ইনি হলেন দত্তাত্রেয় ব্রাহ্মণ রাহুল গান্ধী । তোমরা রাষ্ট্রহিতের চিন্তা ছেড়ে দলীয় প্রার্থীদের ভোটদানে বিরত থাকছো, আর এদিকে এদের হাত মজবুত হচ্ছে ।” বুম ফেসবুকে ‘দত্তাত্রেয় ব্রাহ্মণ রাহুল গান্ধী’ নামের সন্ধান চালিয়ে দেখেছে, অনেকেই একই ক্যাপশন দিয়ে ভিডিওটি শেয়ার করেছে । ভিডিওটি শুধু ফেসবুকে নয়, হওাটসায়াপ এও ভাইরাল হয়ছে।
ফেসবুকে ‘ভাজপাঃ মিশন ২০১৯’ নামের একটি পোস্টে “রাহুল গান্ধীর আসল চেহারা” নাম দিয়ে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছে । ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ফেসবুকে পোস্টটি শেয়ার হয় এবং ১ লক্ষ ৪৭ হাজার জন সেটা দেখেছে আর ৬০০০ জন সেটা শেয়ার করেছে ।
পোস্টটির আর্কাইভ বয়ান এখানে দেখুন ।
ভিডিওটি কিন্তু ২০১৬ সালে তোলা, যখন রাহুল উত্তরপ্রদেশের আম্বেদকর নগর জেলায় কিচাউচা শরিফ দরগায় সফরে গিয়েছিলেন । দরগাটি বিখ্যাত সুফি সন্ত সৈয়দ মখদুম শাহ জাহাঙ্গির আশরফির ।
ইন্ডিয়া টুডে এই ভাইরাল ভিডিওটিকে ভুয়ো বলে খারিজ করে দেয়, তবে হিন্দি সংবাদ চ্যানেল সাহারা সময় -এর একটি ভিডিও পোস্ট করে । ২০১৬-র ১০ সেপ্টেম্বর ইউ-টিউবে সেই ভিডিওটি পোস্ট করা হয় ।
২০১৬-র ৯ সেপ্টেম্বর ফেসবুকে কংগ্রেস সমর্থকদের ওই সফরের পোস্ট করা অনেক ছবিও বুম-এর নজরে এসেছে ।
২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর একটি রিপোর্ট জানায়, রাহুল গান্ধী ওই দিন অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দির দর্শন করে সার্কিট হাউসে ফিরে আসেন, তারপর কিচাউচা শরিফ দরগা সফরে যান ।